গাংনীর বিএন কলেজ অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলন
তৌহিদ উদ দৌলা রেজা : গত ২৮ শে আগষ্ট, ২০২১ ইং তারিখে গাংনী উপজেলার বিএন কলেজে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ আ ফ ম আলিমুজ্জামান। কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন আমি কলেজের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অধ্যক্ষ হিসেবে আছি।আমাকে কোন প্রকার কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই নিয়ম বহির্ভূতভাবে দুই দফা বরখাস্ত করা হয়।পরবর্তীতে সভাপতি সাহারবাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক। বর্তমান সভাপতি আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমুহের প্রমাণ না পাওয়ায় গত ১২ ই এপ্রিল আমাকে স্বপদে বহাল করেন।অদ্যাবধি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমার কাছে দায়িত্ব অর্পন করেন নাই। বারবার তাগাদা দেওয়া সত্বেও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করেন নাই।এমতাবস্থায় কলেজের কাজের স্বার্থে আমার ও সভাপতির যৌথ স্বাক্ষরে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে কলেজের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করি।
২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণের জন্য যশোর শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আমাকে দুইদিন ছাত্র/ছাত্রীদের ফর্ম পুরণের জন্য বলেন।কিন্তু কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ কিছু শিক্ষক আমাকে কলেজের চাবি দেননি এবং কলেজের সকল তথ্য দিতে
অস্বীকৃতি জানাই।আমি গত ২৯/০৮/২১ তারিখে এলাকায় মাইকিং করি ফর্ম পুরণের তথ্য পাওয়ার জন্য।কিছু সংখ্যাক শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাৎ এর মিথ্যা অভিযোগ করেন।
কলেজ প্যাডে আমার বিরুদ্ধে পাঁচলক্ষ চুরাশি হাজার টাকা ও ২০১৯ সালের অক্টোবর ও নভেম্বর এ ব্যয়কৃত এক লক্ষবএক চল্লিশ হাজার চারশত সত্তর টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ সত্য নয়। এ সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ আমি পেশ করেছি। কলেজের সাবেক সভাপতি সেলিনা মমতাজ কাকলি ও অভ্যন্তরীণ আয়-ব্যয় নিরীক্ষণ কমিটির প্রমাণপত্র প্রমাণ করে যে অভিযোগটি সত্য নয়। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন গত ২০ বছর বিনা পারিশ্রমিকে অধ্যক্ষ হিসেবে বিএন কলেজের দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালন করে আসছি।উক্ত সময়ে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করা হয়নি। এখন এমপিভুক্তির চেষ্টা চলছে এই সময় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমুলক ভাবে বিভিন্ন অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি সম্পুর্ন নির্দোষ। কলেজকে সুন্দরভাবে পরিচাললার জন্য ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফর্ম পুরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আপনাদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।