বজ্রপাতে মৃত্যু নিরোধে তালগাছ রোপন অত্যন্ত জরুরী
সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী, প্রতিনিধি : সাস্প্রতিক সময়ে বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিনত হয়েছে। গেল কয়েক বৎসরে আমাদের দেশে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা ব্যাপক আকার ধারন করেছে। বজ্রপাত এখন আর কোন মৌসুম মানছে না।সারা বিশ্বে বজ্রপাতে যত মানুষ মারাযাচ্ছে তার এক-চতুর্থাংশ মারাযাচ্ছে আমাদের দেশে। তবে ২০১৬ সালকে বজ্রপাতের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসাবে ঘোষনা করা হয়।বজ্রপাত মোকাবেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশ সুরক্ষায় তালগাছের রয়েছে বিশেষ সক্ষমতা। বাতাসের গতিবেগও অনেক কমিয়ে দেয় তালগাছ। কারন তালগাছ উচু মানের হয় বলে বজ্রপাত রোধে কার্যকর ভুমিকা রাখে। তালগাছের বাকলে কার্বনের স্তর বেশি থাকায় বজ্রপাত নিরোধে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে।আমাদের দেশেও প্রতিটি বাড়ির পাশে, রাস্তার ধারে, জমিনের আইলে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা অধিক তালগাছ রোপন করতে পারি।
এ বিষয়ে ফোনে কথা হলে,রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও রিভারাইন পিপল এর পরিচালক, অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ ও নীলফামারী সরকারী কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের প্রভাষক গোলাম মোস্তফা রনি জানান, মুলত এপ্রিল মে মাসে বেশী বজ্রপাত হয়।বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা হাওর ও বিস্তির্ন এলাকায় বেশী হয়।উল্লেখ্য নীলফামারী জেলায় গত দুই অর্থবছরে ৭২ হাজার ১১০ টি তালগাছ রোপন করাহয়।যার মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৪ হাজার ১০ টি এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৮ হাজার ১০০ টি।তালগাছের সববিচ চারা গজাবে তা কিন্তুু নয় যেগুলো গজিয়েছে পরিচর্যা অভাবে নষ্টহতে বসেছে। তালগাছ লাগানোর মাধ্যমেই শতভাগ বজ্রপাত নিরোধ করা সম্ভব তা কিন্তু নয়। কারন বজ্রপাত সবচেয়ে উচু জায়গায় আঘাত করে,তাঁলগাছ দীর্ঘলম্বা হওয়ায় কারনে বজ্রপাত নিরোধে ব্যাপক ভুমিকা রাখে। ২০১৭ সালের ২০ শে জানুয়ারী বিবিসি নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদন থাইল্ড্যান্ডে বজ্রপাত নিরোধে তালগাজ রোপনের মাধ্যমে তারা ব্যাপক সফলতা পায়, বাংলাদেশও থাইল্যান্ডের বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়।
ফিনল্যান্ডের বজ্রপাত বিষয়ক গবেষনা ভাইসালার তথ্যমতে বজ্রপাতে ৭০শতাংশ মৃত্যু ঘটে কৃষিকাজে,১৪শতাংশ গোসল করতে,১৬শতাংশ মৃত্যুঘটে মাছধরার সময়। তবে বজ্রপাত প্রতিরোধক দন্ড(বিদ্যুৎপরিবাহি)এখন অনেকে বাসা বাড়িতে লাগিয়েছে।এছারা বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার তেমন কোন বিকল্প নেই।নীলফামারী জেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের তরনীবাড়ি মৃত ভেদল বর্মনের ছেলে কৃষক মনমোহন জানান ইউনিয়নে পরিষদে বজ্রপাতের ক্ষতির বিষয় যানার পর এখন তালগাছ রোপনকরে নিজেই পরিচর্যা করেন।নীলফামারীর জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সাথে এবিষয়ে কথা হলে দৈনিক আজকালের পত্রিকার ডোমার প্রতিনিধিকে জানান.বজ্রপাতে মৃত্যু প্রতিরোধে তালগাছ যথেষ্ঠ সহায়ক হিসাবে কাজ করে। একারনেই মানুষকে সচেতন করতে তালগাছ রোপনে সরকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে জন প্রতিনিধিদের দারা সভা সেমিনারের মাধ্যমে ব্যপক ভাবে নানা কর্মপরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে।আমরা তালগাছ রোপনের মাধ্যমে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার কমিয়ে এবং আগামীর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বসবাস যোগ্য সুন্দর পরিবেশ তৈরি করি।