নীলফামারীতে ক্রমেই কমে যাচ্ছে টেলিফোন ব্যবহার
সত্যেন্দ্রনাথরায়, নীলফামারী, প্রতিনিধি : প্রবাদে আছে কারো পৌষমাস কারো সর্বনাশ ১৮৮৩ সালে ২৮শে সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রথম নবাব আহসান উল্লাহ প্রথম টেলিফোন ব্যাবহার করেন। এক সময়ের মানুষের অতি প্রয়োজনীয় ও বিপুল জনপ্রিয়তার টেলিফোন সেবা সংস্থাটি আজ মোবাইল ফোনের ব্যবহারে পাল্লায় টিকতে না পেরে বিলুপ্তির দারপ্রান্তে পৌছে গেছে।
তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষে যুগে টেলিফোন কে টেক্কা দিয়ে পিছনে ফেলে সুযোগ সুবিধা ও সেবার মান বিবেচনায় মোবাইলের গুরুত্ব মানুষের কাছে ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে।যাবতীয় যোগাযোগ এখন মোবাইলে হচ্ছে।বহনে সহজ লভ্য,দামেও সস্তা।ডোমার, টেলিফোন অফিসের ওয়্যারম্যান নজরুল ইসলাম সাথে কথা বলে জানা যায় সেপ্টেম্বরে ২১৭টি,অক্টোবর মাসে ২১১ টি লাইন সংযোগ রয়েছে যার মধ্যে ১৫০ টি সচল বাকি গুলো বিকল।নীলফামারী টেলিফোন ভবনের জুনিয়র এসিটেন্ট ম্যানেজার আমজাদ হোসেন বলেন বর্তমানে ৮০০ টেলিফোন সংযোগ লাইনের মধ্যে সচল রয়েছে ৬১৯ টি।
রংপুর টেলিফোন বিভাগের জি এম তাজুল ইসলাম এর মুঠোফোনে এবিষয়ে কথা হলে জানান বিভিন্ন এ্যাপস নেট এর ব্যবহার করে ভিডিও কলে কথোপ কথন, ই-মেইল,ব্যংকিং সেবা, মোবাইল বহনে সহজ,দামে সহজ লভ্য,বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে মোবাইল ব্যবহার কারীরা। টেলিফোনে এই সুবিধা গুলো না পাওয়ার কারনে টেলিফোনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে হ্রাস পাচ্ছে।তবে ঘুরে দাড়ানোর জন্য সরকার ব্যাপক চেস্টা চালাচ্ছে। সরকারী দপ্তরে ও বিশেষ ব্যাক্তির বাসায় এখন টেলিফোন ব্যবহার হচ্ছে।ডোমার জনতা ব্যাংক শাখার ম্যানেজার মোতাহারুল ইসলাম জানান টেলিফোন সংযোগ থাকলেও আমরা মোবাইলে কথা বলতে বেশী স্বাছন্দ বোধ করি।আর বর্তমানে লাইন ম্যানদের ডাকলেও পাওয়া যায়না,নানাবিধ কারনে টেলিফোনের ব্যবহার আজ বিলুপ্তির দারপ্রান্তে ।