‘নির্বাচনকে সামনে রেখে হেয় করার অপচেষ্টা’ দাবি ইউপি চেয়ারম্যানের

0

পাবনা প্রতিনিধি : আশ্রয়ণ প্রকল্পের নামে হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাবনার চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লা। সেখানে তিনি দাবি করেছেন, ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু ব্যক্তি তাকে হেয় করে ফায়দা লুটার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ডিবিগ্রাম ইউনিয়নবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি বারবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং তার উপর অর্পিত দায়িত্ব ন্যায়-নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছেন। গত ১২ অক্টোবর তথাকথিত চাচাতো ভাইদের কথা উল্লেখ করে তার বিরুদ্ধে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপন করেছে ইউএনও’র কাছে। যে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই বছর আগে তার তথাকথিত দুই চাচাতো ভাই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে টাকা নিয়েছে। যে বিষয়টি তিনি আদৌ অবগত নন কিংবা এর আগে বিষয়টি ভুক্তভোগী কেউ তাকে জানায়নি।

নবীর উদ্দিন মোল্লা বলেন, দুই বছর আগে টাকা দিলেন ভুক্তভোগীরা, অথচ এতদিনে চেয়ারম্যানকে একবারও জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি কেউ। এতেই বোঝায় যায় অভিযোগটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত, ভিত্তিহীন। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। মুলত আগামী ইউপি নির্বাচন নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি তাকে হেয় করে ফায়দা লুটতে চায় বলে দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যান।

ইউপি চেয়ারম্যানের লিখিত বক্তব্যের ভাষ্যমতে, ধানবিলা গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে বাসিরুজ্জামান রাব্বি কিছুদিন আগে তার পিতার প্রথম স্ত্রী-কন্যার নাম বাদ দিয়ে পরিষদ থেকে ওয়ারিশ সনদ নিতে চায়। কিন্তু তার পিতার প্রথম স্ত্রী-কন্যার নাম সংযুক্ত করে ওয়ারিশ সনদ দেবার কারণে ক্ষিপ্ত হয়। বাসিরুজ্জামান রাব্বির উদ্দেশ্য ছিল তার মৃত বাবার পেনশনের টাকা তার বাবার প্রথম স্ত্রী কন্যাকে বাদ দিয়ে নিজেরা ভোগ দখল করবে। এ কারণে তিনি এ অপপ্রচারে নেমেছেন। যদি কেউ আশ্রয়ণ প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত করে থাকে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের যথাযথ বিচার দাবি করেন ইউপি চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নবীর উদ্দিন মোল্লা বলেন, যাদের কথা বলা হয়েছে রেজাউল ও আরজু তার দু:সম্পর্কের চাচাতো ভাই ঠিক আছে। কিন্তু তারা টাকা নিছে কিনা, কারা তাকে টাকা দিলো এতদিন তাকে কেউ কিছুই জানায়নি। হঠাৎ করেই নির্বাচনের আগে অভিযোগ তোলা হচ্ছে কেন, বিষয়টি পরিষ্কার। আর আশ্রয়ণ প্রকল্পের সাথে ইউনিয়ন পরিষরেদ কোনো সম্পৃক্ততা নেই। প্রকল্পের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ও দেখভাল করেন ইউএনও সাহেব। যদি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয় তাহলে সেটির দায়ভার ইউএনওর উপর বর্তায়। এখানে ইউনিয়ন পরিষদ বা চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কিছুই করার সুযোগ নেই। সংবাদ সম্মেলনে এক নং ইউপি সদস্য মোজাফফর হোসেন সহ গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবীর উদ্দিন মোল্লার চাচাতো ভাই পরিচয়ে রেজাউল ও আরজু আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেবার কথা বলে হতদরিদ্র ব্যক্তিদের প্রতিজনের নিকট থেকে ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা গত মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.