গাংনীতে সাহারবাটি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
তৌহিদ উদ দৌলা রেজা: দ্বিতীয় ধাপে গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত (নৌকার) প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকরীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নৌকার মনোনীত প্রার্থী মশিউর রহমান। সোমবার বিকেলে গণসংযোগ কালিন সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিবুল ইসলাম ও তার কর্মী সমর্থক কর্তৃক হামলার অভিযোগ করেন। এসময় নৌকার পক্ষের দুইজন কর্মী আহত হয় এবং একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে বলেও দাবী করেন মশিউর রহমান।
সোমবার রাত সাড়ে নয়টার গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ইউনিয়নের জোড়পুকুরিয়া বাজারের নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য মশিউর রহমান বলেন, সোমবার সন্ধার পর সাহারবাটি ইউনিয়নের ভোমরদহ গ্রামে ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিল পাড়া নামক স্থানে নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে গেলে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী (মোটরসাইকেল মার্কা) রাকিবুল ইসলাম টুটুলের লোকজন আমাদের প্রচরণায় বাধা সৃষ্টি করেন। এসময় আমাদের কর্মীদেরকে রাকিবুল ইসলামের লোকজন উস্কনি মুলক কথাবার্তা বলে এবং আমাদের উপর হামলা করে।
উক্ত হামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের দুই কর্মী রাকিবুল ও মুন্না আহত হয়। এসময় একটি হিরো হাংঙ্ক মটরসাইকেল ভাঙচুর করে। মশিউর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর দেশের চেহারা আজ বদলে গেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ আমাকে সাহারবাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনীত করেন। আজ আমার নির্বাচনি প্রচার প্রচারনার সময় বিএনপি জামাতের মদদ পুষ্ট স্বতন্ত্র প্রার্থী আমার নৌকার সর্মথকদের উপর দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমার কর্মির উপর হামলা চালায়। আমি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে যদি হামলার শিকার হতে হয় তাহলে আমি ভোট বর্জন করতে বাধ্য হবো। কারন এই জামাত বিএনপির কারনে আমার পিতা সাবেক সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ততকালিন চেয়ারম্যান বজলুর রহমানকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে। সেই একই কায়দাতে গোপনে আমাকেও হত্যার ষড়যন্ত্র করছে তারা। তাই প্রশাসনের কাছে আমরা মিনতি করছি এই সকল সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক আসিফ ইকবাল অনিক, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ডালিম রানা প্রমুখ।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমান বলেন, এবিষয়ে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করার জন্য লোকজন এসেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইননানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।