সমাজের বিত্তবানদের প্রতি এক প্রতিবন্ধি অসহায় মায়ের আবেদন
মো. হুমাযুন কবির, গৌরীপুর : মা জুবেদা আক্তারের আদরের বাবু(জোনাইদ সালমান)জন্মের পর থেকে চিকিৎসা করালেও তার ছেলের বাঁকা হাত পাঁ দুইটি ভাল হয়নি। ছেলের চিকিৎসার পিছনে অনেক টাকা-পয়সা খরচ করলেও তাকে সুস্থ করতে পারেনি। জোনাইদ সালমানের বাবা গার্মেন্টস এ কাজ করে স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচ সদস্যের সংসারে কোন রকমেই জীবন-জীবিকা করছেন। অসহায় এই গরীব বাবার সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা।
ছেলেটার ভালো চিকিৎসা করাতে পারছে না অসহায় এই বাবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি সেখানে একমাত্র প্রতিবন্ধি সন্তানের জন্য একটি হুইল চেয়ার কেনা রেজাউল করিমের স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না।তাই সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে অসহায় এই বাবা মায়ের আবেদন ছেলের জন্য ভালো চিকিৎসা ও একটি হুইল চেয়ার পাবার জন্য।
অসহায় মা বলেন,কামলা খাটিয়া যা পাই তা দিয়া পাঁচ জনের সংসার অনেক কষ্টে খায়া না খায়া বেঁচে আছি ভাই। আমার প্রথম বাবুটারে অভাবের জন্য ভালো চিকিৎসা করাতে পারি না,বাবুডারে এদিক সেদিক নিতে পারি না সবসময় বিছানায় পইড়া থাকে বাবুর জন্য এখ্যান হুইল চেয়ার কিনে দিবার পারি না। সরকারে হোক আর অন্য কেউ যদি আমার বাবুডাকে চিকিৎসার সুযোক করে দেয়,আর একটা চেয়ার দিলে ভাই আমি আল্লাহ’র কাছে দোয়া করবো।
কান্না জড়িত কন্ঠে এভাবেই কথাগুলো বললেন।অসহায় এই শিশুর বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের ছোট বৃ- ডৌহাখলা গ্রামের মোঃ রেজাউল করিমের ছেলে জোনাইদ সালমান(১১),জন্মের পর থেকেই তার ছেলের দুটি হাত সহ পাঁ অচল। কোন ভাবেই মাটিতে হামাগুড়ি দিয়েও চলাচল করতে পারেনা । দরিদ্র এই পরিবার চিকিৎসা করার জন্য আর্তিক সহযোগীতা ও একটি হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ্য না থাকায় ছেলের জন্য সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে আকুতি জানিয়েছেন মা ও বাবা।প্রতিবেশী আবুল হাশেম জানান, কোন রকমেই গার্মেন্টস এ কাজ করে যা আয় করে তা দিয়েই খুব কষ্ট করে সংসার সহ ছেলের চিকিৎসা করাতে হয়।অল্প রোজগার থেকে শিশুটির চিকিৎসা ও একটি হুইল চেয়ার কেনার সামর্থ তাদের নাই। তাই সমাজের কোন দানশীল বিত্তবান, মহৎ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি অসহায় শিশুটির চিকিৎসা ও একটি হুইল চেয়ার দিয়ে সহযোগিতা করে তাহলে প্রতিবন্ধি এই ছেলেটর অনেক বড় উপকার হবে দাবী জানান এ প্রতিবেশী।