দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায় “গ্রাম্য মাতব্বরের খপ্পরে ৫ বছর ধরে গাছতলায় হয়েছে আমার বসবাস”
মোঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলায় পুলিশী হয়রানী ও ডজন খানেক মিথ্যা মামলার কারণে প্রায় ৫ বছর থেকে গাছতলায় (গাছের নিচে) ছাড়া ঘরে ঘুমাতে পারেনি বলে সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন ভুক্তভোগী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির।
সে দিনাজপুর বিরল উপজেলার ৪নং শহরগ্রাম ইউনিয়নের সেনগ্রামের কাশেম আলী কাচুর ছেলে। গত শনিবার ১১ ডিসেম্বর সকালে বিরল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্যে এমনই কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিগত চার পাঁচ বছর ধরে নিজ অর্থে কেনা সম্পত্তির থেকে বেদখল ও ছেলের চাকুরী দেয়ার নাম করে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা’কে কেন্দ্র করে বাবা কাশেম আলী কাচু ও আপন ভাই সিরাজুল ইসলামের সাথে তাঁর দ্বন্ধ শুরু হয়।
এরপর পিতা কাশেম আলী ও ভাই সিরাজুল ইসলাম খালাতো ভাই মাহাবুব ও রবিউল ইসলাম চাপার কু-পরামর্শে ভুক্তভোগি রিয়াজুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে আক্তারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ বিভিন্ন ধারায় হয়রানীমুলক একাধিক মামলা দিয়ে পুলিশী হয়রানী করছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, সিরাজুল ইসলাম একজন অর্ণেট সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের কর্মকর্তা হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে ভাতিজা আক্তারুল সহ এলাকার বিভিন্ন যুবক ও ব্যাক্তির কাছ থেকে চাকুরী দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
ভুয়া ও জাল লাইন্সেসের মাধ্যমে রয়েছে তাঁর নামে বেনামে একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র। সিরাজুলের অধিনস্থ অনেকের কাগজ পত্র ভুয়া প্রমানিত হওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাও হয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম একটি চক্রকে ম্যানেজ করে এসব অপরাধ করছে বলেও তিনি জানান। কিন্তু পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না বলেও তাঁর অভিযোগ।
সংবাদ সম্মেলনে ওই এলাকার প্রতিবেশি বাবুু বির্জন মহন রায়, সুপেন চন্দ্র দেবশর্ম্মা, কিনা মোহাম্মদ, নাজমুল হক, নুর আলম ও ছেলে আক্তারুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। ভুক্তভোগী রিয়াজুল ইসলাম এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠ উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।