কলমাকান্দায় লোমহর্ষক হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আটক ১
মেহেদী হাসান আকন্দ: নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার পাঁচগ্রাম বাজার সংলগ্ন তেরোতোপা গ্রামের মজিবর রহমান (৫০) নামের এক ব্যক্তির আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মজিবর রহমান তেরোতোপা গ্রামের মৃত আব্বাস আলী ছেলে। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিহত মজিবর রহমান ব্যবসায়ীক পাটনার নাদেরের সাথে তার দোকানে চা পান করে রাত অনুমান সাড়ে ১০টায় বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বাজারের অপর ব্যবসায়ী নিহত মজিবর রহমানের বাড়ীর পাশে আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয় আনিসুর রহমানকে মোবাইল ফোনে আগুন লাগার বিষয়টি জানালে স্থানীয় লোকজন এবং মজিবর রহামনের বাড়ীর লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পানি দিয়ে আগুন নিভানোর একপর্যায়ে মজিবর রহমানের পোড়া মরদেহ দেখতে পায়। স্থানীয়দের ধারনা প্রতিদিনের ন্যায় মজিবর রহমান চা পান শেষে বাজার থেকে বাড়ী ফেরার সময় আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা দূর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহের উপর খড় দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে পালিয়ে যায়।
নিহতের স্ত্রী সমলা জানান, রাতের খাবারের পর প্রতিদিনের ন্যায় বাড়ী সংলগ্ন বাজারে যায়। বাড়ীর পাশে জমিতে আগুন লাগার ডাক-চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার স্বামীর আগুনে পোড়া মরদেহ দেখতে পায়। তার স্বামী একজন গরু ব্যবসায়ী ছিলেন। স্থানীয় পাঁচগ্রাম বাজারের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী এবং বাজারের ইজারাদার জনির কাছ থেকে টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেন। দীর্ঘদিন করোনার কারণে ব্যবসার মন্দাভাব থাকায় ঋণের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সবসময় চিন্তিত থাকতো। এমনকি টেনশনের কারণে গত ৫/৬ আগে তার স্বামী স্টোক করেছিল। ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য তার উপর অত্যান্ত চাপ ছিলো বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে কলমাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল আহাদ জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী জনিকে আসামী করে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যবসায়ী জনিকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত ব্যবসায়ী জনিকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তশেষে হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।