নাটোরের লালপুরে আম গাছে আগাম মুকুলের দেখা
রিয়াজ হোসেন লিটু, নাটোর: এবার শীতের তেমন তীব্রতা না থাকায় পৌষের মাঝেই আবহাওয়াগত কারণে নির্ধারিত সময়ের একমাস আগেই নাটোরের লালপুর উপজেলার আম গাছগুলিতে দেখা মিলতে শুরু করেছে আগাম মুকুলের। আর কয়েকদিন পরেই প্রতিটি আম গাছে মুকুলে ভরে যাবে। আগাম মুকুল আসায় উপজেলা জুড়ে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে মিষ্টি গন্ধ। মুকুলের মৌ মৌ মিষ্টি গন্ধই জানান দিচ্ছে মধুমাস সমাগত। আগাম মুকুল আসায় আম চাষিদের মনে আশার আলো দেখা দিয়েছে। তাইতো বাগান মালিকরাও আনেকটা আগে ভাগেই আম বাগান গুলিতে শুরু করেছে পরিচর্যার কাজ। আমের রাজধানী হিসেবে রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ বিখ্যাত হলেও নাটোর জেলাও কোনো অংশে কম নয়। তবে ঘনকুয়াশা হলে এই সকল আগাম মুকুলের ক্ষতি হবে বলে জানান কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে লালপুর উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামে দেখা যায় বাড়ির আঙ্গিনায় ও বাগানের কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল আসতে শরু করেছে। গাছে আগাম মুকুল দেখা দেওয়ায় বাগান মালিকরা পরিচর্যার কাজ শুরু করেছেন। কথা হয় নাজমুল হোসেন, শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন আম চাষীর সঙ্গে তারা বলেন, এবছর শীতের তীব্রতা কম থাকায় এবং অন্য মৌসুমের চেয়ে এবার তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকায় সময় না হলেও কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আরো কিছু দিন পরে বাগানে প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটতে শুরু করবে বলে জানান তারা।
লালপুর কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায় ‘এই উপজেলায় ১ হাজার ৮শ’ ৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান আছে। এখানকার চাষকৃত আম হলো, ফজলি, নেংড়া, খিরসাপতি, গোপালভোগ, আম্রপালি, লকনা অন্যতম।’ লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, ‘প্রায় একমাস আগেই উপজেলার কিছু কিছু গাছে আগাম মুকুল এসছে। আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। ঘনকুয়াশা বা শৈত্যপ্রবাহ নামলে আগাম মুকুলের ক্ষতি হবে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকুলে থাকলে জানুয়ারীর মাঝামাঝি সময়ে সব গাছে মুকুল দেখা যাবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।