হরিণাকুণ্ডুতে ইউপি নির্বাচন পরবর্তীতে হামলা-ভাংচুর, ও অগ্নিসংযোগ
তুষার হাবীব (হরিনাকুন্ডু) ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে ৫ জানুয়ারিতে ৮ টি ইউনিয়নে নির্বাচনের পর আওয়ামীলীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের হট্টগোল, বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর,লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সুত্রে পাওয়া তথ্যমতে বুধবার ভোট গণনার পরদিন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটীয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে দুই মেম্বার কুরবান আলীর কর্মী সমর্থক ও কাজী মশিয়ার রহমান এর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পরের দিন বিজয়ী প্রার্থী কুরবান আলী ও মশিয়ারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাঁধে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারী) উপজেলার কাপাশহাটীয়া ইউনিয়নের পোল ভাতুড়িয়া গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীরা জানান, দীর্ঘদিনের পুরাতন শত্রুতার জের ধরে বৃহস্পতিবার কাজী মশিউর মেম্বার নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর কুরবান মেম্বার সমর্থিত দের সাথে এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধলে মূহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে বৃহত্তরভাবে। এখন পর্যন্ত তারা নানা ভাবে ভয় ভিতি দেখিয়ে আসছেন বলেও জানা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে পুরুষ শুন্য এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আমরা কাজী মশিয়ারকে ফুটবল মার্কায় ভোট দিয়েছি। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর কুরবান মেম্বার তার দলবল সাথে করে হাসুয়া রামদা নিয়ে আমাদের বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর,লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। কুরবান মেম্বার ও তার গুণ্ডাবাহীনিদের অত্যাচারে আমাদের বাড়িতে কোনও পুরুষ মানুষ নেই। থানায় মামলা করেও আমরা নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছি। তারা আমাদের প্রতিনিয়ত হুমকি ধামকী দিয়ে যাচ্ছে।এমনকী বাড়ির নারী ও শিশুরাও নিরাপদ নাই। মেয়েদেরকে বাসা থেকে বিবস্ত্র করে বাড়ী থেকে বের করে দেয়ার কথাও জানান। এঘটনায় নগদ টাকা,স্বর্ণালঙ্কার,ও বাড়ীর আসবাবপত্র ভাংচুরে প্রায় ৯ লক্ষাধিক টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এঘটনায় নবনির্বাচিত মেম্বার মোঃ কুরবান আলীর সাথে কথা বলতে তার নিজ বাসগৃহে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে কাপাশহাটীয়া ইউপি চেয়ারম্যান এর চাচাতো ভাই জানান, ঘটনা যায় ঘটুক এটা সম্পূর্ণ অন্যায়। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি, আসামীরা পালাতক রয়েছে বলে জানান এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মহাসিন।
এঘটনায় উপজেলার নবনির্বাচিত কাপাশহাটীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু জানান, ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত আমরা এনিয়ে আমরা দ্রুতই সামাজিক ভাবে মিমাংশ করতে পারবো বলে আশা করি।