বনভান্তের ১০৩তম জন্মদিনে হাজারো পূণ্যার্থী ঢল
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : ধর্মীয় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে রাঙ্গামাটির রাজবন বিহারে বৌদ্ধ আর্য্যপুরুষ মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষে মহতী পূণ্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে যোগ দেন হাজার হাজার পূণ্যার্থী।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে কেক কাটেন বনভান্তের শিষ্যসংঘের প্রধান ও রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। এ সময় বনভান্তের সংরক্ষিত পবিত্র দেহধাতুতে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ভিক্ষুসংঘসহ হাজারো পূণ্যার্থী। পূণ্যার্থীদের ভক্তির শ্রদ্ধায় শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় বনভান্তের দেহধাতু। ফুল আর বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে কমপ্লেক্স ভবনসহ বিহার প্রাঙ্গণ।
এ উপলক্ষে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন, বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, হাজার প্রদীপ দান, পিন্ড দান, পুষ্পাঞ্জলি উৎসর্গ, বিশ্বশান্তি প্যাগোডার উদ্দেশ্যে দানসহ নানাবিধ দান করা হয়। মহতী পূণ্যানুষ্ঠানে বনভান্তের অমৃতময় বাণীর উদ্ধৃতি দিয়ে পূর্ণ্যাণীদের উদ্দেশ্যে ধর্মদেশনা প্রদান করেন রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির, কাটাছড়ি রাজবন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ইন্দ্রগুপ্ত মহাস্থবির প্রমূখ।
এ সময় বালুখালী ইউপি সাবেক চেয়য়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমার সঞ্চালনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনি স্বপন দেওয়ান, রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, মঞ্চে উপবিষ্ট পূজনীয় ভিক্ষুসংঘ সহ পূণ্যার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিশেষ প্রার্থনা পাঠ করেন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিয় খীসা।
উল্লেখ্য, বনভান্তে ১৯২০ সালের ৮ জানুয়ারি রাঙ্গামাটি সদরের ১১৫ নং মগবান মৌজার মোরঘোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১২ সালের ৩০ জানুয়ারি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। তখন থেকে বনভান্তের দেহধাতু ও তাঁর ব্যবহার্য জিনিসপত্র রাজবন বিহারে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।