১০ টাকায় গৃহিনীদের স্বস্তি, নিজের সংসার ও ব্যাংক ঋন চালায় মাছ কুটে চন্দ্রা
সাইফুর নিশাদ , মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি : সারাদিন বাজারে বসে মাছ কুটা তার পেশা। এ আয়ে সংসার চলে, ঋন শোধ হয় চন্দ্রার। এ জন্য প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যে বাজারে দিন কাটে তার।
মনোহরদী বাজারের মাছ বাজারে অ্যায়সা বড়ো একটি ধারালো চকচকে একটি দা নিয়ে বসে থাকেন চন্দ্রা(৫০)। কাপাসিয়া উপজেলার কামারগাঁও গ্রামে তার বাড়ী। তবে রাতে ঘুমানো ছাড়া সারাদিন কাটে তার মনোহরদী বাজারে।মানুষের কেনা মাছ কুটে দেয়ার কাজ করেন তিনি। গৃহিণীদের স্বস্তি দেয়ার পেশা তার। মাত্র ১০ টাকায় এ স্বস্তি দান কর্মটি সম্পাদন করে থাকেন তিনি। সকাল থেকে রাত ১০/১১ টা পর্যন্ত। যতোক্ষন হাটে লোক থাকে,মাছ কেনাবেচা হয় ততক্ষন কাজ থাকে তার।
হাটের সময় কথা বলার ফুরসত থাকে না চন্দ্রার। বুধবারের হাটে বসে তিন কেজির একটি রুই কাটতে কাটতে কথা বলছিলেন চন্দ্রা। তিনি জানান,আগে বাজারে মাছ বেচতেন তিনি। সে ব্যবসার চেয়ে এ মাছ কুটার কাজই তার পছন্দ বেশী। এতে পুঁজি লাগে না, লোকসানের ঝুঁকিও নেই। বাকী বিক্রির হাঙ্গামাও পোহাতে হয় না এতে।সব নগদ। এতে দৈনিক ৮শ’ থেকে হাজার টাকা আয় তার।চন্দ্রার কষ্টার্জিত টাকায় তার সংসার চলে।সংসার একেবারেই ছোট তার। ২ মেয়ে এক ছেলের জনক সে।মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ঋন করে সম্প্রতি ছেলেকে বিদেশে পাঠিয়েছেন তিনি। সে ঋনের কিস্তি শুধতে গিয়ে এ মাছ কুটার পেশায় নামা তার। ছেলের কামাই রোজগার এলে ঋনের কিস্তি শোধ পারলে তবেই স্বস্তি চন্দ্রার।