সাতক্ষীরা শ্যামনগরে শালিসি বৈঠকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১

0

রিজাউল করিম সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মধুসুদনপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির খালের পানি ভাগাভাগি নিয়ে সৃষ্ট দ্বদ্ব নিরসনে শালিসি বৈঠক চলাকালে দুইপক্ষের সংঘর্ষে রহমত মল্লিক (৬০) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত সাতজন। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

শুক্রবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের সিরাজপুর হাটখোলায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে রহমত মল্লিকের মৃত্যু হয়।

নিহত রহমত মল্লিক মধুসুদনপুর গ্রামের মৃত দিরাজতুল্লাহ মল্লিকের ছেলে। এছাড়া আহতরা হলেন, মদুসুদনপুর গ্রামের মৃত নুরালী গাজীর আয়ুব আলী (৪৫), শফিকুল (৩৫), রফিকুল (৫০), জমাত আলী (৫৫) ও রেজাউল আলী (৪৭) ও রফিকুল গাজীর ছেলে আলামিন (২২) ও মিজানুর মল্লিকের ছেলে মিয়ারাজ (২৮)।

অপরদিকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার হরিনগর এলাকার ইমাম মল্লিকের ছেলে নজরুল ইসলঅম ও কুলটুপুরি গ্রামের লুৎফর গাইনের ছেলে আব্দুল হামিদ। ভুরুলিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু জানান, মধুসুদনপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির খালের পানি নিয়ে ইজারাদার ও স্থানীয়দের মধ্যে বিরোধ ছিল। এজন্য দুইপক্ষকে নিয়ে মিমাংসার জন্য শালিস ডাকা হয়। শালিসে বক্তব্য শুনানিকালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।

ভুরুলিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হোসেন আলী জানান, ইরি ধান করার জন্য সমবায় সমিতির খালের পানি ব্যবহার নিয়ে বিরোধের বিচার চলাকালীন অবস্থায় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে আমি ও চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলাম। তারা সহনশীল হলে এই ঘটনা ঘটতো না।

আহত আলামিন জানান, খালটা নিয়ে বেশ কিছুদিন ঝামেলা চলছিল। চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে ডেকে বিচার করার সময় আমাদের উপর হামলা করা হয়। এতে আমার আব্বা এবং আমিসহ আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছি। শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইতিমধ্যে নিহত রহমত মল্লিকের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ২০, তারিখ-২২.০১.২০২২। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.