পাবনায় যুবককে হত্যার দায়ে তিন সহদোরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

0

নিজস্ব প্রতিনিধি : পাবনার চাঞ্চল্যকর শাহীন হোসেন (৩০) হত্যা মামলায় তিন সহদোরের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন। নিহত শাহীন পাবনা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কাশিনাথপুর চরপাড়া গ্রাামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। আর দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন একই গ্রামের শাহেদ আলীর তিন ছেলে বাবু হোসেন (৩৮), মোস্তফা (৩২) এবং আবু হোসেন(৩৫)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে ২০১০ সালের ২৭ জুলাই রাতে শাহীন হোসেন কাঠমিস্ত্রির কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মধ্যে সদর উপজেলার রামানন্দপুর কালভার্ট রোডে পৌঁছালে ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্রদিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে শাহীনকে আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পরের দিন নিহতের স্ত্রী সিমা খাতুন ১০ জনের নাম উল্লেখ করে পাবনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী বাবু হোসেন, মোস্তফা এবং আবু হোসেন তিন সহদোরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এই মামলায় হত্যাকান্ডের ঘটনাটি প্রমাণিত হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন। দন্ডাপ্রপ্তরা উচ্চ আদালতে আপিল করলেও সাজা কমার সুযোগ নেই। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইদ্রিস আলী বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখান থেকে দন্ডপ্রপ্তরা নিরপরাধ হিসেবে খালাস পাবেন বলে আশা করছি। মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রী সিমা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। আমার স্বামীকে হত্যার পর থেকেই আমি বাসা-বাড়িতে কাজ করছি। স্কুলপড়–য়া আমার একটি মেয়ে আছে। আমি তাকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই রায়ে তিনি সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট নই। আমি আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি চেয়েছিলাম। আমরা শিগগিরই উচ্চ আদালতে আসামীদের ফাঁসি চেয়ে আবেদন করব।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.