মুজিববর্ষের উন্নয়নে রবুজাকে ঝুপড়ি থেকে মুক্তি দিলো বাংলাদেশ পুলিশ

তুষার হাবীব, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার গৃহহীন থাকবে না একটি পরিবার। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকীতে ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুণ্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের নারায়নকান্দী গ্রামের রবুজা খাতুন পেলেন মুজিব বর্ষের দৃষ্টি নন্দন দুই কক্ষ বিশিষ্ট্য একটি ঘর। আজ ২৫ শে মার্চ রোজ শুক্রবার বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় রবুজাকে দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি ঘর ও জমি বুজিয়ে দিলেন বাংলাদেশ পুলিশের ঝিনাইদহ জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার মোঃ মুনতাসিরুল ইসলাম।

সারাদেশের ন্যায় হরিণাকুণ্ডু থানাতে একটি অসহায় পরিবার, ভাগ্যহত মৃত্যু ইসলাম মণ্ডলের সহধর্মিণী রবুজা খাতুন, জমিসহ একটি ঘর উপহার উপহার পেলেন। আজ ২৫ শে মার্চ শুক্রবার একযোগে উদ্ভোধন করেন দেশ রত্ন বঙ্গবন্ধু মানসকন্যা শেখ হাসিনা। রোদ বৃষ্টি ঝড়ে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করেছেন ঝুপড়ি ঘরে। এখন থেকে আর কষ্ট করতে হবে না রবুজাকে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আমি অনেক খুশী। আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য দুহাত তুলে দোয়া করবো প্রতি ওয়াক্তের নামাজে, এমনটাই জানালেন ” বিডি ২৪ ভিউজকে “। জানা যায় মৃত্যু ইসলাম মণ্ডল এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। হরিণাকুণ্ডু থানার মানবিক পুলিশের পাঠানো পাঁচ জনের নামের তালিকা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে পাঠানো হয়।

সেই তালিকা থেকে ভাগ্যবতী রবুজার নাম চুড়ান্ত তালিকায় আসে। নাম তালিকায় আসার পর থেকে হরিণাকুণ্ডু থানা পুলিশের সার্বিক তত্তাবধানে এই দৃষ্টি নন্দন বাড়িটি নির্মান সম্পর্ন করে। নির্মান শেষে বাড়িটি রবুজার হাতে তুলে দেবার অপেক্ষায় ছিলাম এবং অবশেষে আজ ঘরটি বুঝিয়ে দিতে পারলাম রবুজার কাছে, এমনটায় জানালেন হরিনাকুন্ডু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা। তিনি আরও জানান, জমি ক্রয় করে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এই দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি নির্মাণ করা হয়। প্রতিবেশী সুখ বাহারের স্ত্রী জানান, রবুজা ছিলো একজন হতদরিদ্র গৃহহীন মানুষ। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর অন্যের বাড়িতে অসহায়ের মত দিনযাপন করতো।

প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এমন একটি সুন্দর বাড়ি আমার বাড়ির পাশে নির্মান করায় আমি অনেক খুশী। জমি বিক্রেতা মৃত্যু আত্তাব উদ্দীন বিশ্বাসের তিন ছেলে আব্দুল বারী, আবুধীন আদম, এবং মোঃ আব্দুল লতিফ জানান, আমরা দুই শতাংশ জমি বিক্রয় করেছি। আমরা তিন ভাই এমন এক মহৎ কাজের জন্য জমি বিক্রয় করতে পেরে অত্যান্ত খুশী।