নীলফামারীতে স্বাধীনতা দিবসে বিচার বিভাগের সেমিনার অনুষ্ঠিত
সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন কর্ম ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে দিনটি উপলক্ষে জেলা জজ আদালতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর সিনিয়র বিচারক মো. মুনসুর আলম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক(জেলা ও দায়রা জজ) মো. মাহাবুবুর রহমান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল হক প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহমুদ হাসান, বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক খন্দকার এ.টি.এম তোফায়েল, সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাহিদ হাসান, সহদেব চন্দ্র রায়, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার সিনিয়র সহকারী জজ উৎপল ঘোষ, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন কবির, জাহিদ হাসান, সিনিয়র সহকারী জজ সৈয়দপুর মোঃ সোহাগ আলী, সহকারী জজ কিশোরগঞ্জ জয় কিশোর নাগ, সহকারী জজ জলঢাকা মাহাবুব উল ইসলাম সহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবনের গবেষণার ফসল হলো একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিবিসির এক জরিপে তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার পর জ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু গুরুত্ব দেন উচ্চ শিক্ষাকে। এ লক্ষ্যে যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশে অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাকে পেছনে ফেলে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন। এতে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাফিজুল ইসলাম। এর আগে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী নিয়ে জেলা বিচার বিভাগের বিচারকরা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ের স্বাধীনতা স্মৃতি অম্লান চত্বরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ।