সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সেন্টারের মাধ্যমে নারীদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত পুলিশ – মাহমুদা বেগম
মাহফুজ আলম,স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক চালু হওয়া পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সেন্টার (পিসিএসডব্লিউ) নামক ফেসবুক পেইজ অভিযোগ জানালে ভুক্তভোগী নারীরা পুলিশের সহযোগিতা পাবেন বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ সহ-সমন্বয়ক (বিপিডব্লিউএন) মাহমুদা বেগম। শনিবার(১১ এপ্রি) রাঙ্গামাটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও শিক্ষকদের সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় এ সব তথ্য জানান। এছাড়া পাওয়ার পয়েন্ট প্রদর্শনীর মাধ্যমে যেকোনো সমস্যা প্রতিকারে জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ থেকে কিভাবে সেবা গ্রহণ করবে তা উপস্থাপন করেন মাহমুদা বেগম। এসময় প্রায় তিনশ’র জনের কাছাকাছি শিক্ষার্থীর মাঝে বাংলাদেশ পুলিশ এবং ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সেবা সমূহের লিফলেট বিতরণ করা হয়।নারীর অগ্রযাত্রায় বাল্যবিবাহ বড় বাধা উল্লেখ করে মাহমুদা বেগম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের তৎপরতায় বাল্যবিবাহ ব্যাপক হারে কমে গেলেও কোনো কোনো অঞ্চলে এখনো অগোচরে বাল্যবিবাহ বিদ্যমান আর এর পেছনে মুল কারণ হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ঝড়ে পড়া এবং দারিদ্রতা। বাংলাদেশ পুলিশের তৎপরতায় পূর্বের চেয়ে ইভটিজিং এবং নারী নির্যাতন ব্যাপক হারে কমে গেছে। বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন এবং ইভটিজিং প্রতিরোধে বাংলাদেশ পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ও চট্টগ্রাম রেঞ্জেন এই সহ-সমন্বয়ক (বিপিডব্লিউএন) আরও বলেন, নিরাপদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নারীদের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ চালু করেছে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন সেন্টার (পিসিএসডব্লিউ) নামক ফেসবুক পেইজ যেখানে ভুক্তভোগী নারী সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবে। তারপরও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইমু, হোয়াটসআপ,টিকটক ইত্যাদি খুব সতর্কতার সহিত ব্যবহার করতে বলেন, কারণ দুষ্টু প্রকৃতির একশ্রেণির মানুষ নানান রকম কলা-কৌশল ব্যবহার করে মানুষকে ভিভ্রান্ত করে এবং ব্ল্যাকমেইল করে অপহরণ করে। যার ফলে অনেকগুলো পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। কেউ যদি কোনো প্রকার ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয় তাহলে সাথে সাথে দ্রুততার সহিত বাংলাদেশ পুলিশের হেল্প লাইনে ও সংশ্লিষ্ট সার্ভিস ডেক্সগুলোতে তথ্য দিয়ে অপারাধীকে ধরতে সহায়তা করতে বলেন।বাংলাদেশে মাদকের হার কমে গিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রালারেন্স নীতি ঘোষণার পর বাংলাদেশ পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে মাদকের হার কমে গিয়েছে। তবে মাদক এতই বিষাক্ত যে তারুণ্যের শক্তি ও সম্ভাবনাকে শেষ করে দেয়। আমাদের আগামীর ভবিষ্যৎ তরুণ সমাজকে মাদকসেবন প্রতিরোধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। যে কোনো প্রকার অন্যায় অপরাধ সংগঠিত হতে দেখলে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান করেন। অপরাধ মুক্ত সুন্দর সমাজ এবং সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের ভূমিকা ব্যাপক থাকতে হবে।সভায় কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ ও রাঙ্গামাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ শ’শ’ শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যম কর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।