মহেশখালীতে পেশাদার সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে ব্যক্তির মালিকনাধিন চিংড়ি প্রকল্প দখল
ইয়াছিন আরাফাত কক্সবাজার : কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী সড়কের দক্ষিণ পাশে দারা খালের লাগোয়া ঢাকাইয়্যা ঘোনার একাংশের ইজারাদার মোহাম্মদ উল্লাহ রাসেল এর বিচার নিরবে নিভৃতে কাঁদে বলে জানাগেছে। রাসেল পাশ্ববর্তী বদরখালীর ইউনিয়নের কুতুবদিয়া পাড়ার মোহাম্মদ সলিম উল্লাহ মাষ্টারের পুত্র। তবে মহেশখালীর ওই চিংড়ি ঘের পেশাদার সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বে দখল করেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানাগেছে। ব্যক্তির মালিকানাধীন ওই চিংড়ি প্রকল্প এলাকায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হওয়ায় শঙ্কিত জীবন-যাপন করছেন উক্ত ঘেরের প্রকৃত লাগিয়ত নেওয়া বদরখালীর বাসিন্দা রাসেল।
উপজেলার কালারমারছড়া লাগায়ো চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের সলিম উল্লাহ মাষ্টারের পুত্র মোহাম্মদ উল্লাহ রাসেল জানান, পেকুয়া উপজেলার হাজী অাকতার অাহামদ চৌধুরীর পুত্র ওমর ফারুক চৌধুরীর রয়েছে করিয়াদিয়া মৌজাস্থ মাতারবাড়ী সড়কের দক্ষিনে লীজ প্রাপ্ত চিংড়ী জমি। এ জমিতে বাঁধ নির্মাণ করে চিংড়ী চাষের উপযোগী করে রক্ষানাবেক্ষন সহ ভোগ করার জন্য ২০১৬ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত তাকে দায়িত্ব দেন। তা ও এটর্নিপাওয়ার মূলে। লিখিত ভাবে এ দায়িত্ব পাওয়ার পর এস্কেভেটার গাড়ী দিয়ে ঐ বছরের ডিসেম্বরের শুরুতে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কাজ চলমান অাবস্থায় প্রায় বাঁধের কাজ সমপন্ন হবার পর পরই মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের উক্ত চিংড়ী প্রজেক্টের পার্শ্ববতী কিছু লোক তার কাছ থেকে ২লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। তা দিতে অপরাগত প্রকাশ করলে সংঘবদ্ধ লোকজন ২০১৬ সালের ৮ ডিসেন্বর দিন-দুপুরে শ্রমিকদের মারধর করে চলে যান।
এতে ৩ জন শ্রমিক অাহত হন। তাদের অস্ত্রের ভয়ে এস্কেভেটারের শ্রমিকরা কাজ না করে চলে যাওয়ায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রতিকার চেয়ে মোহাম্মদ উল্লাহ রাসেল বাদী হয়ে কালারমারছড়ার মো:রাসেল,শাহ অালম, মাতারবাড়ীর কাসেম,নবাব মিয়া সহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে জেলা প্রশাসক কক্সবাজার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ছাড়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এর কাছে ও একটি মামলা দায়ের করেন। যার এম অার -১১৮৪/১৬, তাং১১/১২/১৬ইং। বাঁধের বাকী কাজ সম্পন্ন করার পর চিংড়ী ঘের করার জন্য মাতারবাড়ীর মাষ্টার কাসেম ও এয়ার মোহাম্মদ এসে তাদের কাছে ঘেরটি লাগিয়ত করার জন্য মে: উল্লাহ রাসেলকে প্রস্তাব দিলে তিনি সন্মতি প্রকাশ করেন। এতে তারা ৫৫ হাজার টাকা ও রাসেলের হাতে বায়না হিসেবে দেন।কিন্তু তারা লাগিয়তের টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাসেল থেকে কৌশলে একটি স্ট্যাম্প ও নেন। তারা অদ্যবদি মো: উল্লাহ রাসেলকে লাগিয়তের টাকা না দিয়ে আজ-কাল করে বিলন্ব করছে। এতে মো:উল্লাহ রাসেলের প্রাণ যায় যায় অবস্থা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত মো:উল্লাহ রাসেল। মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই বলেন, এবিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।