নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর পরিবারের সাথে আপোষ মীমাংসায় ছাড়া পেলেন প্রাইভেটকার চালক
মাহফুজ আলম, কাপ্তাই ( রাঙামাটি) থেকে : নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর পরিবারের সাথে আপোষ মীমাংসায় ছাড়া পেলেন প্রাইভেটকার চালক মোঃ লিটন। রাইখালী-বাঙ্গালহালিয়া প্রধান সড়কে মোটর সাইকেল ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটর সাইকেল আরোহী সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত হয়।ঘটনাটি ঘটে ১৯ আগষ্ট বিকালে চন্দ্রঘোনা থানাধীন ২ নং রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়া ৫ নং ওয়ার্ডের হাতিমারা নামক স্থানে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে, এবং পুলিশি তৎপরতায় প্রাইভেটকারসহ চালককে আটক করতে সক্ষম হয় চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ।
নিহতের পরিবার কর্তৃক রাঙ্গামাটি জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট বিনা ময়না তদন্তে লাশ গ্রগনের জন্য আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চন্দ্র ঘোনা থানা কর্তৃক নিহত ব্যাক্তির পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করা এবং নিহতের পরিবার কর্তৃক প্রাইভেটকার চালকের সাথে আপোস মীমাংসা হওয়ার পর প্রাইভেটকার ও চালককে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল বাহার চৌধুরী নিশ্চিত করে বলেন যে দুই পক্ষের মধ্যে আপোষ মীমাংসা বা সমঝোতা হয়েছে তারা হলেন, নিহত ব্যাক্তির নাম সুইসাইন মং মারমা (৩৫)। পিতাঃ- মংচপ্রু মারমা।
মাতাঃ- মিলিপ্রু মারমা। সাং- মতিপাড়া ০৫ নং ওয়ার্ড ০২ নং রাইখালী ইউনিয়ন। ডাকঘরঃ- রাইখালী বাজার। থানাঃ- চন্দ্র ঘোনা। জেলাঃ- রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা। মোটর সাইকেল নাম্বার চট্রমেট্রো -ল- ১৬-০৭১৭। F-Z-5 প্রাইভেটকার চালক এর নাম মোঃ- লিটন(৪২)।
পিতাঃ- চাঁন মিয়া। সাং- ঝাউগোড়া০৭ নং ওয়ার্ড ০৭ নং ইউনিয়ন। ডাকঘরঃ-সরকার বাজার। থানাঃ- মেলান্দ। জেলাঃ- জামালপুর।
প্রাইভেট কার নাম্বার ঢাকা মেট্রো-(গ)- ২৮–১৭০৪।
ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী আরও জানান, চন্দ্র ঘোনা থানা পুলিশ কর্তৃক সুরতহাল রিপোর্ট করার পর পাহাড়ি ব্যাক্তির লাশ চন্দ্র ঘোনা থানায় সি এন জি যোগে নিয়ে আসলে পরিবার কর্তৃক বিনা ময়না তদন্তের জন্য লাশটির বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ে ম্যাজিষ্টের নিকট আবেদন করলে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়না তদন্তের জন্য লাশ দেওয়ার আদেশ হলে, চন্দ্রঘোনা থানা কর্তৃক নিহত ব্যাক্তির পরিবারের নিকট লাশটি ১৯ আগষ্ট রাত পোনে ১টার সময় হস্তান্তর করে।পরর্বতীতে নিহতের পরিবার থানায় কোন ধরনের প্রাইভেটকার চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলা না করার কারনে নিহতের পরিবার কর্তৃক আপোষ মিমাংসা নিশ্চিত করলে , প্রাইভেট কার চালকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।