ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের ছুড়িকাঘাতে কন্যাসহ আহত যুবলীগ নেতা

0

নিজস্ব প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে পূর্বশত্রুতার জের ধরে পিতা ও কন্যাকে ছুড়িকাহত করেছে ঈশ্বরদী পৌর সভার ৬-নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাকিল হোসেন (১৭)। কন্যাসহ আহত হয়েছেন ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক এবং ঈশ্বরদী কলেজ পাড়া এলাকার মো. করিম মোল্লার ছেলে মো. সালাম মোল্লা এবং তার শিশু কন্যা মোছ. আয়েশা সিদ্দিকী (৫)।

ঘাতক মো. শাকিল হোসেন (১৭) ঈশ্বরদী পৌর সভার ঝাড় পুকুর এলাকার মো. জাহিদুল ইসলামের ছেলে।

ঘটনা সূত্রে জানাযায়, কামার পাড়া এলাকায় ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে গত আনুমানিক ১০ দিন আগে আহত মো. সালাম মোল্লার ছেলে মো. তালহা জুবায়ের সামির (১০) সাথে বিবাদে জরান শহরের ঝাড় পুকুর এলাকার মো. জাইদুল ইসলামের বড় ছেলে মো. সাগর ইসলাম (১৯)।

সেই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলে বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি এবং ঈশ্বরদী পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বিপ্লবের। সে সময় তিনি উভয় পক্ষকে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বসে উভয়ের সম্মতিতে সমঝোতা করে দেন বলে নিশ্চিত করেছেন পৌর যুবলীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বিপ্লব।

সেই শত্রুতার জের ধরেই রবিবার ২৫ ডিসেম্বর দুপুরে ঈশ্বরদী সরকারী কলেজ গেট সংলগ্ন এলাকায় মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা এবং পিতা মো. সালাম মোল্লাকে ধারালো অস্ত্রদ্বারা একাধিক আঘাত করতে থাকলে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোক ঘটনাস্থলের দিকে আসতেই সেখান থেকে পালিয়ে যান ঘাতক মো. শাকিল হোসেন গং। স্থানীয় লোকজন আহত পিতা ও কন্যাকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রেরণ করেন। সেখানে তাদের শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ .হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

জানতে চাইলে আহতের বড়ভাই আবুল কালাম আজাদ মোল্লা জানান, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. রাকিবুল হাসানের নির্দেশনায় আজ দুপুরে আমার ছোট ভাইয়ের মেয়েকে মোটর সাইকেল যোগে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিলেন, শাকিল, সাগর , ইমরান, আলিম, রিশাদ, আলামিন, রেজাউল, সজল প্রমূখ। তখন মেয়ের বাবা আমার ছোট ভাই টের পেয়ে তাদের পিছু নিয়ে ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের গেটের কাছে গিয়ে মেয়েকে মুক্ত করতে চেষ্টা করলে অপহরণ কারীরা তাকে শরীরের একাধিক স্থানে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন সে সময় তার মেয়ের হাতেও আঘাত লাগে। তখন তাদের চিৎকারে সবাই এগিয়ে এলে অপহরণ কারীরা পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, শরীরের একাধিক স্থানে ক্ষতের কারণে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ার কারণে প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে অপারেশন চলছে। তারা রাজশাহী থেকে ফিরে এলেই মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয় নাই,  অভিযোগ দিলে ঘটনা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.