গাংনীতে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন
মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনীর ধানখোলা বাজারের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মলন অনুষ্ঠিত। ধানখোলা বাজারের ব্যবসায়ী তানজিদ আহমেদ (অনি) বুধবার বিকালে গাংনী প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ধানখোলা বাজারের ব্যবসায়ী তানজিদ আহমেদ (অনি) বলেন, ১৮ মাস পূর্বে ধানখোলা ফুটবল মাঠে সার্কাস খেলা কমিটির তত্বাবধানে সার্কাস পাটি খেলা দেখাতে আসে। মাত্র ৫ দিন দেখার পর সার্কাস খেলা দেখানো বন্ধ হয়ে যায় । এসময় এলাকার কিছু মানুষ খেলা বন্ধ হওয়ায় সার্কাসের মালিক সাখাওয়াত হোসেন স্বপন কে পাওনা টাকার জন্য মারধর করে। ঐ সময় আমি বাজার কমিটির সভাপতি হিসেবে এলাকার ছেলেদের এবং সার্কাস মালিকের সাথে একটা সমঝোতার মাধ্যমে আমি মধ্যস্থতা করি এবং সার্কাস মালিক কে আশ্রয় দেই। পাওনাদারদের দাবী অনুযায়ী এক লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা তাদের পাওনা আছে বলে জানায় তারা। সার্কাস মালিক ওই সময় ২৬ শে এপ্রিল পর্যন্ত সময় নেয় পাওনা পরিশোধের জন্য অন্যথায় তাহার মাল বিক্রি করে সেই টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করেন। সার্কাস মালিক কত টাকার মাল রেখে গেছেন তা আমাকে জানিয়ে যায়নি। তবে আমার কাছে জেনারেটর রেখে যায় যার আনুমানিক মুল্য পঞ্চাশ হাজার টাকা। হঠাৎ আমার আম্মা অসুস্থ হওয়ায় আমি একমাস ইন্ডিয়াতে অবস্থান করি সেই সময় আমি সার্কাস মালিক কে ফোন করলে তিনি আরও ২ মাস সময় চান। পরবর্তীতে আমি আমার আম্মাকে নিয়ে আবার ইন্ডিয়াতে চলে যায়। আবার ১ মাস পরে ফোন করলে সার্কাস মালিক ফোন রিসিভ করেননি। আমরা আরও তিনমাস পরে সার্কাস মালিকের বাসায় গেলে তিনি আবার ও তিনমাস সময় নেন পরবর্তীতে তিনি কথা না রাখায় তার মাল বিক্রি করে পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করা হয়। সার্কাস মালিকের যাবতীয় জিনিসপত্র ২৫০০০০ টাকা দরদামে একলক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে পরবর্তীতে আরও এক লক্ষ টাকা দিয়ে জিনিসপত্র নিয়ে যাবার চুক্তি হয় কিন্তু ক্রেতা পক্ষ রাতের আধারে সকল জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং আমাকে অবশিষ্ট এক লক্ষ টাকা দিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও সেটা দেয়নি। আমরা সার্কাস মালিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে জানতে পারি তিনি একটি চেক জালিয়াতি মামলায় এক বছরের কারাদন্ডে জেলে আছেন। তিনি জেল থেকে বের হলে তাকে জানায় অবশিষ্ট এক লক্ষ টাকা সে এবং আমরা আদায়ের ব্যবস্থা করবো কিন্তু তিনি আর যোগাযোগ করেননি। এর মধ্যে আমি ব্যবসার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি । ছয়মাস পরে জানতে পারি আমার বিরুদ্ধে গাংনী থানায় পচিশ লক্ষ টাকার মামলা করেছে । আমি মনে করি এটি একটি মিথ্যা মামলা সুতরাং আমি গাংনীর সাংবাদিকদের জানাতে চাই আসল ঘটনা কি।