কুষ্টিয়া মিলপাড়ায় বেপরয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং গ্রুপ
নিজস্ব প্রতিনিধি কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়া মিলপাড়া এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে ‘কিশোর গ্যাং’। উদ্ভট সব নামে এলাকাভিত্তিক নতুন নতুন সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলছে তারা। এরই মধ্যে এদের সংশ্লিষ্টতায় সন্ত্রাসী গ্রুপের তৎপরতা ভয়াবহ ও বেপরোয়া রূপ নিয়েছে। পাড়া-মহল্লা-বস্তির ছিঁচকে সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে ধনাঢ্য পরিবারের ধনীর দুলাল, এমনকি স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও এসব বাহিনীতে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের হাতে হাতে এখন দেশি অস্ত্রের ছড়াছড়ি; রয়েছে অত্যাধুনিক বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্রও। সরজমিনে গিয়ে খোজ নিয়ে দেখা যায় ‘কিশোর গ্যাং’ এর সদস্য সবুজ (৩৭) পিতা খবির মন্ডল, আব্দুল্লাহ (৩০) পিতা- সামসুল কামার, কালু (২৫) ও রনি (২৪) উভয় পিতা- আকবর, ও অস্ত্র মামলার আসামী সবুজ মন্ডল (পিতা- খবির মন্ডল), রাকিব(২৬)( পিতা মৃত রুস্তম)। এরা সবাই চরমিলপাড়ার আবাসনের বাসিন্দা।
কিশোর অপরাধীদের বেশিরভাগই মাদকসেবী। এই সদস্য গুলো ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক বিক্রি, ইভটিজিং, অপহরণ, ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। অভিযোগ রয়েছ এসব কর্মকান্ডে নেতৃীত্ব দিচ্ছেন ১০ নং ওয়ার্ড এর পৌর কমিশনার গোলাম মোস্তফা লাভলু। এই কিশোর গ্যাং এর অত্যাচারে ঐ এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রতিবেদককে জানান ঐ বাহিনী সন্ধার পর এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়, এলাকার মানুষ কোনো যায়গায় অভিযোগ দিতে গেলে তাদের হত্যার হুমকি দেয়, যার ফলে কেউ কোথাও কোনো অভিযোগ দিতে পারছে না বলে জানান। এ দিকে ঐ এলাকার সালেহা নামের এক নারী এই বাহিনীদের বিরুদ্ধে গতকাল কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করার পর থেকে ঐ নারী কে সন্ত্রাসী বাহিনির সদস্যরা হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। গত ০৩/১০/২০২০ ইং তারিখে বিকাল ৩ ঘটিকার সময় পৌরসভা কতৃক রাস্তার কাজ সালেহা নামের ঐ নারী পায়।
এমতাবস্থায় কাজ পাওয়ার পর ঐ এলাকায় সালেহা রাস্তার কাজ করতে গেলে মিলপাড়া গড়াই আবাসন এলাকার মোড়ে ঐ সব সন্ত্রাসীরা সালেহাকে হুমকি প্রদান করে। তারা বলে রাস্তা করতে হালে আমাদের চাঁদা দিতে হবে। এ সময় সালেহা টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। সালেহা তাদের কে গালাগালি করতে নিষেধ করলে ঐ সব সন্ত্রাসীরা ঐ নারীকে কিল ঘুষি ও এলোপাতাড়ি ভাবে মার ধর করে। পরে এলাকার মানুষ তাদের হাত থেকে রক্ষা করে। এমতাবস্থা ঐ দিন সালেহা কুষ্টিয়া মডেল থানায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। এলাকাবাসীর দাবী এলাকার মানুষ যেনো শান্তিতে বসবাস করতে পারেন, এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ ও বিনীত অনুরোধ করেছেন তারা । এদিকে লাভলু কমিশনারের কাছে এই কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রন তার হাতে থাকার ব্যাপারে অভিযোগ করলে তিনি তা অস্বিকার করেন।