পাবনায় প্রতিবন্ধী দিবস পালন

0

নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপটে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সম্পৃক্ত করি, নতুনভাবে টেকসই বিশ্ব গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৯তম আন্তর্জাতিক ও ২২তম জাতীয় প্র্রতিবন্ধী দিবস আজ (বৃহস্পতিবার) পালিত হয়। জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি ১৯৯২ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী পালন করা হচ্ছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি সহমর্মিতা ও সহযোগিতা প্রদর্শন ও তাদের কর্মকান্ডের প্রতি সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যেই দিবসটির সূচনা হয়। কোভিড-১৯ এর কারণে র‌্যালি ও আলোচনা সভা না হলেও সরকারের স্বাস্থ্য বিধি মান্য করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশের প্রতিটি জেলার ন্যায় পাবনা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর ও পাবনা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র সীমিত পরিসরে পাবনা জেলা প্রশাসনের প্রাঙ্গনে শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের হুইলচেয়ার ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শ্রবণ যন্ত্র প্রদান করে। সহায়ক উপকরণ প্রদান অনুষ্ঠানে পাবনা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মো: আবুল হাশেম স্বাগত বক্তব্যে জানান, বর্তমান প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বান্ধব সরকার কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের রক্ষার জন্য নানামূখী পদক্ষেপ নিয়েছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ৩০ জন হতদরিদ্র শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ৩০ টি হুইলচেয়ার এবং ২ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে শ্রবণ যন্ত্র প্রদান করা হচ্ছে। চলতি অর্থ বছরে মোট ১৩৫ টি হুইলচেয়ার, ১৮ টি সাড়াছড়ি এবং ১০ শ্রবণ যন্ত্র বিতরণ করা হলো। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাহেদ পারভেজ জানান, কোভিড কালীন সময়ে সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সকল সেবার আওতায় নিয়ে এসেছে। আজকে যারা হুইলচেয়ার পাচ্ছেন তা তাদের চলার পথকে সহজতর করবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পাবনা জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: রাশেদুল কবীর বলেন, আপনাদের আশে-পাশে যদি কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি থাকে যার সহায়ক উপকরণ প্রয়োজন বা অন্য কোন সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিন। আমরা সহযোগিতা করবো।

অনুষ্ঠানে অ্যাকসেস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও কমনওয়েল্থ ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় প্রতীক মহিলা ও শিশু সংস্থা’র বিভিন্ন ইউনিয়ন স্ব-সহায়ক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। এক সাক্ষাতকারে প্রতীকের নির্বাহী পরিচালক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা সংক্রান্ত শহর কমিটি এবং সদর উপজেলা কমিটির সদস্য এস, এম, সাইফুর রহমান বলেন, দেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন- ২০১৩, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন- ২০১৩, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল আইন- ২০১৮ এবং প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা, ২০১৯ প্রণয়ন করেছে। এ সকল আইন ও বিধি-বিধানের আলোকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মৌলিক চাহিদাপূরণ, ক্ষমতায়ন এবং দেশের অন্যান্য জনগণের ন্যায় সমঅধিকার নিশ্চিতকরণে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আমাদের কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে পৌর পরিবার কল্যাণ সংস্থা, পথের সন্ধান, প্রকাশ মানবিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.