রাজস্ব ফাঁকি রোধে কাস্টমসের অফিস নির্দেশনার বিরোধীতায় বেনাপোল স্থল বন্দরের উপপরিচালক : ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ

0

মোঃ জসীম উদ্দীন, বেনাপোল থেকে : বেনাপোল স্থল বন্দরে রাজস্ব ফাঁকি, পণ্য চুরি ও পণ্য জট নিরসনে বেনাপোল কাস্টম হাউসের অফিস নির্দেশনা বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বেনাপোল স্থল বন্দর ব্যবহারকারী কয়েকটি সংগঠন ও কাস্টম কর্তৃপক্ষের অভিযোগ বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদারের বিরোধিতায় নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না।

গত (২৩ ডিসেম্বর) বেনাপোল কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার এস এম শামীমুর রহমানের সই করা অফিস আদেশ জারি করা হয়। গত (২৪ ডিসেম্বর) সকালে কাস্টম, বন্দর ও বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলোর সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষের একাধিক বৈঠক হলেও নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন, বন্দর ব্যবহারকারী ৫টি সংগঠন ও কাস্টম কর্তৃপক্ষ।

নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে রাজস্ব ফাঁকি ও পণ্য চুরি বন্ধ হবে বলে মনে করে বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো। অন্যদিকে দিনে ৪০০ ট্রাক পণ্য বন্দরে প্রবেশ করে একই দিনে আনলোড করে ভারতে ফিরে যেতে পারবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, বন্দরে রাজস্ব ফাঁকি ও অনিয়ম বন্ধে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্ত বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) এর বিরোধীতার কারণে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আজ সকাল থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে বন্দর পরিদর্শন করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোন সমাধান হয়নি।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার মোঃ আজিজুর রহমান জানান, বন্দরে নানা অনিয়ম, রাজস্ব ফাঁকি, পণ্য চুরি রোধ, ভারতীয় খালি ট্রাক দ্রুত ফিরে যাওয়া ও খালি ট্রাকের জট প্রতিরোধে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মিটিং করেই এ আদেশ জারি করা হয়। আজও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সকালে বৈঠক হয়েছে কিন্ত বৈঠক ফলপ্রসু হয়নি। তবে কাস্টম ও বন্দর যৌথভাবে কাজ করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

বেনাপোল স্থল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন তরফদার জানিয়েছেন, কাস্টমসের অফিসিয়াল নির্দেশনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। রাজস্ব ফাঁকি ও বন্দরে পণ্য চুরি বন্ধ করতে আমরাও চাই। তবে বন্দরের নিজস্ব আইন আছে সে অনুযায়ী বন্দর পরিচালিত হবে।

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.