গাংনী পৌর নির্বাচন – স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার মাইক ভাংচুরের অভিযোগ
তৌহিদ উদ দৌলা রেজা : মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুবলীগের নির্বাচনী পথসভা থেকে স্বতন্ত্র ও বিএনপির প্রার্থীকে প্রতিহতর ঘোষনার পর পরই আবারও গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের প্রচার মাইক ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এশার আজানের পর গাংনী বাসস্ট্যান্ডে এ ভাংচুর করে ব্যাটারী ও মেশিন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার বিকেলে গাংনী বাজার রেজাউল চত্বরে যুবলীগের পথসভা থেকে ঘোষনা করা হয় বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রতিহত করা হবে। পথসভাটি মাগরীবের সময় শেষ হলে এশার আজানের পর শহীদ রেজাউল চত্বরের অপর দিকে এ মাইক ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।বিকেলে যুবলীগ আয়োজিত পথসভায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা মার্কা প্রতীকের প্রার্থী আহম্মেদ আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক। এসময় জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রচার মাইকের ভ্যান চালক বাশবাড়ীয়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে সেলিম জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে মেহেরপুরের দিকে যেতে গাংনী বাজারের আমিরুল মার্কেটের সামনে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলামের(জগ) মার্কা প্রতীকের প্রচারনা চলছিল। এসময় কয়েকজন লোক মাইক ভেঙ্গে আমার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। স্বতস্ত্র মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, গতকাল শনিবার মাইক ভাংচুর করে আবারও আজ রোববার এশার আজানের পর গাংনী বাজারে আমার (জগ) মার্কার প্রচারনা চলছিল। এসময় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ আলীর লোকজন আমার প্রচার মাইক ভাংচুর করে।এবং ভাংচুরের ঘটনার পরেই আমার চেম্বারে এসে মুখোশধারী ৬-৮ জন লোক আমার ছোট ভাইসহ লোকজনকে চেম্বার না খোলার জন্য হুমকি দিয়ে গেছে এবং চেম্বার খুললে বড় ধরনের ঘটনা ঘটাবে বলেই মোটরসাইকেল যোগে চলে গেছে।আমি গতকালের ভাংচুরের বিষয়ে লিখিত পাঠিয়েছি বিভিন্ন দপ্তরে। আজকের ঘটনাও জেলা নির্বাচন ও রির্টানিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।এবং নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করবো। আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আহম্মেদ আলী জানান এমন কোন ঘটনা আমার জানা মতে ঘটেনি। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রির্টানিং কর্মকর্তা আহম্মেদ আলী জানান, শনিবার বিকেলে একটি মাইক ভাংচুরের ঘটনা আমার দপ্তরে লিখিত আকারে জানানো হয়েছে। আজকের কোন ঘটনা আমার নিকট এখন পযর্ন্ত লিখিতভাবে কেউ জানায়নি।