রাস্তা কেটে বাঁশ ফেলে ৭০০ মানুষের যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ
পাবনার আতাইকুলা থানার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের বাগানপাড়া থেকে কদম আলীর বাড়ী পর্যন্ত গ্রামের আঞ্চলিক সড়কে স্থানীয় প্রভাবশালী আইয়ুব খাঁর বিরুদ্ধে রাস্তা কেটে, বাঁশ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে ।
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার আতাইকুলা থানার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের বাগানপাড়া থেকে কদম আলীর বাড়ী পর্যন্ত গ্রামের আঞ্চলিক সড়কে স্থানীয় প্রভাবশালী আইয়ুব খাঁর বিরুদ্ধে রাস্তা কেটে, বাঁশ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে ।
বুধবার বিকেলে তিনি তার ছেলে, ভাতিজাসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে রাস্তায় বাঁশ ফেলে মাটি কেটে খালের সৃষ্টি করেন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় গ্রামবাসী ও তাদের পরিবারের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামের প্রায় ৭ শ’ মানুষ যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে।
রাস্তায় জায়গা দেয়া গ্রামবাসী আলাউদ্দিন, গোলজার হোসেন, আমানুল্লাহ পরিবারসহ একাধিকজনের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, আইয়ুব খাঁর বাড়ির পাশ ও পুকুর পাড় দিয়ে গ্রামবাসীর অনেক বছরের পুরাতন পায়ে হাটা পথ। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সড়কের সংস্কার করা হয়েছে। গেল রমজানেও ওই রাস্তায় গ্রামাবাসীর সহযোগিতায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নতুন করে রাস্তায় মাটি ভরাট করে দেন। তারা আরও বলেন, এই রাস্তা বন্ধ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আইয়ুব আলী ও তার অনুসারীরা নানা ভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়ে হয়রানী করে আসছেন ।
অভিযুক্ত আইয়ুব খাঁ বলেন, চেয়ারম্যান জোরপূর্বক আমার জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা বানিয়ে নিয়েছে। বিশ্বরোড থেকে ১৫০ ফুট আমার জায়গা। আমি না দিলে জোরপূর্বক কেউ নিতে পারেনা। আমার জায়গায় জোরপূর্বক রাস্তা তৈরী করায় আমি বাঁশ খুটি দিয়ে ঘিরে মাটি কেটে দিয়েছে। আমার জায়গা নিতে হলে আমার সাথে আপোষে আসতে হবে ।
আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার আতিয়ার রহমান জানান, গ্রামবাসীর কথা চিন্তা করেই পায়ে হাটা রাস্তাটি নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামের অনেক মানুষ রাস্তার জন্য জমি দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন রাস্তার প্রথমাংশের মালিক আইয়ুব আলী। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি কোন কথাই শুনছেন না। ইতোমধ্যে স্থানীয় প্রধানবর্গ তাকে নিয়ে বসেছিল। তিনি রাস্তার জন্য জায়গা দিতেও চেয়েছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পূর্বের কথা আর রাখেনি ।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল আলম বলেন, রাস্তাটি সরকারি নয়। পায়ে হাটা রাস্তা। কেউ জায়গা দেন, কেউ দেন না। এমন এক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। চেয়ারম্যান গ্রামবাসীর যাতায়াতের জন্য পায়ে হাটা রাস্তা সংস্কার করে দিয়েছে। যেটা জমিওয়ালা মেনে নিতে পারেননি। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। আপাতত কোন সমস্যা নেই ।