প্রথম বারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে রাঙামাটি পৌরসভা নির্বাচন, মাঠে থাকছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি
মাহফুজ আলম.কাপ্তাই ( রাঙামাটি) থেকে : দুই সপ্তাহের অবিরাম প্রচারণা শেষে আগামী ১৪ ফ্রেরুয়ারী রবিবার অনুষ্ঠিত হবে রাঙামাটি পৌরসভার ভোট,যাতে নির্বাচিত হবেন নগর সেবক তথা ‘নগরপিতা’ এবং তার পাঁচ বছরের সঙ্গী ১২ জনের কাউন্সিলর, যেখানে থাকবেন ৯ জন সাধারন এবং ৩ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর। রবিবার সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ৩১ টি ভোটকেন্দ্রে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৬২ হাজার ৯১৩ জন নির্বাচক। রাঙামাটি জেলার ইতিহাসে এ প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে ভোটগ্রহণ। এনিয়ে ভোটার এবং প্রার্থী,সবাই মধ্যেই দেখা যাচ্ছে উৎকন্ঠা ও উচ্ছাসও। নতুন এই ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই।শুক্রবার পরীক্ষা মুলুক মক ভোটে অংশ নিয়ে অনেকেই নিশ্চিত হয়ে নিয়েছেন ভোট দেওয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে।
এদিকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও অবাধ করার জন্য রাঙামাটি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেয়া হয়েছে বাড়তি প্রস্তুতি। পুলিশ-আনসার-এপিবিএন এর পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করবে র্যাব ও বিজিবি সদস্যরাও। প্রায় ৭০০ পুলিশ নির্বাচনের দিন রাঙামাটি পৌরসভায় দায়িত্ব পালন করবেন। আইনশৃংখলা বাহিনীর সূত্র জানিয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রে ৭ জন পুলিশ,৯ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি পুলিশের ১১ টি মোবাইল টীম এবং ১১ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স নির্বাচনে যেকোন সংঘাত সহিংসা প্রতিরোধে কাজ করবে এদিন। পুলিশ ছাড়াও র্যাব ও বিজিবি’র সদস্যরাও পুরো পৌর শহরে টহল দেবেন সারাদিন।রাঙামাটি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে যা যা করণীয় সবই করব। আমরা আশা করছি মানুষ শান্তিপূর্ণভাবেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
এই জন্য পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃংখলা বাহিনী প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে নিজেদের কাজ করছে।’রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমান মোবাইল টীম নির্বাচনের দিন পৌর এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। এদের মধ্যে তিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দুইজন এসিল্যান্ডও আছেন।’ শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতিই নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা। রাঙামাটি পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচন করছেন পাঁচজন। এরা হলেন বর্তমান মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি,নৌকা মার্কার প্রার্থী আকবর হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি, ধানের শীষ প্রতীকের অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন,জেলা জাতীয় পার্টির নেতা প্রজেস চাকমা ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আব্দুল মান্নান রানা ‘দোকাল’ প্রতীকে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত ‘ মোবাইল’ প্রতীকের অমর কুমার দে।