পার্বত্যাঞ্চলে সীমান্ত সড়ক ও নিরাপত্তা ভীত বাড়ানো হবে
মাহফুজ আলম. কাপ্তাই ( রাঙামাটি) থেকে : পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার এবং সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনে অভিযান বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের। সেই সাথে তিনি সীমান্ত সুরক্ষায় সীমান্ত সড়ক ও নিরাপত্তা ভীত বৃদ্ধি করনের কথা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) দুপুরে রাজস্থলী উপজেলার ২নং গাইন্দ্যা ইউনিয়নে অবস্থিত প্রায় ৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে রাজস্থলী উপজেলায় নতুন থানা ভবন উদ্ভোধন ও হস্তান্তরকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় পুলিশ সুপারের সাথে ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি মারুফ আহম্মেদ, শফিউল্লাহ (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপরাধ) মো. মাঈন উদ্দিন (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাঙ্গামাটি সদর), রওশন আরা রব (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাপ্তাই সার্কেল) ও রাজস্থলী উপজেলা চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ছাদেক, থানা অফিসার ইনচার্জ মফজল আহম্মদ খান সহ পুলিশের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম পর্যটনের জন্য সম্ভাবনাময় এলাকা, বিশেষ করে রাজস্থলী উপজেলার মিতিঙ্গ্যাছড়ি, বলিপাড়া ও সীমান্ত সড়ক বয়ে বিলাইছড়ি উপজেলার ফারুয়া ইউনিয়ন উল্লেখ করার মত। এ অঞ্চলে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা গেলে পর্যটক এবং বিনিয়োগ বাড়বে বলে তিনি জানান।
শান্তি চুক্তি প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন পুর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির চেয়ারম্যান জ্যোতিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু) সাথে রুদ্রতার বৈঠকে পার্বত্য চুক্তিতে যেসব সমস্যা রয়েছে তা দূর করা হচ্ছে বলে জানান। কোন এলাকাকে বাদ দিয়ে নয়, আমরা সবাই একসাথে এগিয়ে যেতে চাই। উন্নয়ন হবে এক সাথে। এই রাজস্থলী উপজেলায় মাদক, সন্ত্রাস নির্মুল করে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিকভাবে ফিরিয়ে আনতে হবে। নইলে অদূর ভবিষ্যতে পার্বত্য অঞ্চলে উন্নয়ন সম্ভাবনা নয় বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। পরে ৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃক দরপত্র কৃত ঠিকাদারি নির্মিত মডেল থানাটি আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রহন করেন।