গৌরীপুরের প্রধান সড়কের বেহাল দশা
মো হুমায়ুন কবির, গৌরীপুর : গৌরীপুর পৌর শহরের এলজিডি আওতায় রাস্তার বেহাল দশা। পিচঢালাই উঠে সড়কের ইট-সুরকি বেরিয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। বৃষ্টিতে সেই গর্তে পানি-কাদা জমে। চাকা গর্তে পড়ে হেলেদুলে চলে যানবাহন। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার মোড় থেকে সতীষা মোড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির বেহাল দশা হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে সৃষ্ট ছোট-বড় গর্তগুলো কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়।
এতে করে সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছেন যানবাহন চালক ও পথচারীরা। তাদের দাবি জনস্বার্থে দ্রুত সড়কটি যেন সংস্কারের উদ্যোগ নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পৌর শহরের পাটবাজার মোড় থেকে সতীষা মোড় পর্যন্ত সড়কটি দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৩শ ৭০ মিটার। এই সড়কের পাশে রয়েছে পৌর বাস টার্মিনাল, টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, গৌরীপুর পৌরসভা কার্যালয়, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, সাব রেজিস্টার কার্যালয়, রাজেন্দ্র কিশোর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ডাকঘরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি হয়ে পথচারী, শিক্ষার্থীসহ প্রতিদিন বাস, ট্রাক, অটোরিকশা, ইজিবাইক, রিকশাসহ ছোট-বড় শত শত যানবাহন চলাচল করে। পাশাপাশি এই সড়কটি পৌর শহরের প্রবেশদ্বার সড়কগুলোর একটি। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, পাটবাজার থেকে সতীষা মোড় পর্যন্ত সড়কের কোথাও পিচ উঠে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। কোথাও ভাঙাচোরা বা ফাটল। কোথাও আবার বিস্তৃত সড়কজুড়ে খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টি হলে কাদাপানি জমে সড়কের গর্ত একাকার হয়ে যায়। এই অবস্থায় যানবাহন চলে হেলেদুলে। যানবাহনের চাকা গর্তে পড়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে যানবাহন। ময়লা পানি ছিটকে পড়ে পথচারীর গায়ে।
গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, পাটবাজার থেকে সতীষা মোড় সড়কটি ছাড়াও পৌর শহরে এলজিইডির আরো কিছু সড়কের বেহালদশা হয়েছে। সংস্কারের জন্য লিখিত ও মৌখিকভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্ত এখনো সংস্কার করা হয়নি।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সালেহ মোঃ ওয়াহিদুল হক বলেন, এই সড়কটি পৌরসভার আওতায়। সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ বছরের মধ্যেই টেন্ডার হবে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।