আল আমিন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর নাম প্রত্যাহারের দাবি
পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার সুজানগর পৌরসভার কর্মচারী আল আমিন হত্যা মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আসামী করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। সোমবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আব্দুল ওহাব।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পারিবারিক শত্রুতা ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৩ মার্চ পৌরসভার কর্মচারী আল আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। কিন্তু এ হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে নিতে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের প্ররোচনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৩৩ জন নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আব্দুল ওহাব বলেন, হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে উপজেলা আওয়ামীলীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের এসব নেতাকর্মীর নামে হয়রানীমুলক মিথ্যা মামলা দিয়ে সামাজিকভাবে হেয় করেছেন। যাদের এ মামলায় আসামী করা হয়েছে তারা ঐদিন সুজানগর বা পাবনায় ছিলেন না। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাদের আসামী করা হয়েছে। তিনি নেতাকর্মীদের নামে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অভিযোগ করে বলেন, শাহীনুজ্জামান শাহীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকে দল বিরোধী কর্মকান্ডে আরো বেপরোয়া হয়েছেন। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রার্থী দিয়েছিলেন। তদন্তের মাধ্যমে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনের দল বিরোধী ভূমিকায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আব্দুল ওহাব। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকান্ডে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, হত্যাকারী যেই হোক সে খুনি আসামী। তার পক্ষ নেয়া মানে সেই হত্যাকান্ডকে সমর্থন করা।