জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে পাবিপ্রবিতে এম পি প্রিন্স মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ ধারণ করাই হলো বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করা
পাবনা প্রতিনিধি : হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন পাবনা সদর-৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য গোলম ফারুক প্রিন্স। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ।
মেডিকেল ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে সংসদ সদস্য গোলম ফারুক প্রিন্স বলেন, আজকের দিনে সারাদেশের মানুষ বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছে। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী আমাদের জীবনে আনন্দময় দিন। পৃথিবীতে অনেক নেতা ছিলেন যারা কেউ কেউ মৃত্যুর আগে প্রশংসিত হয়েছেন, কেউ কেউ মৃত্যুর পরে প্রশংসিত হয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু পৃথিবীবাসীর কাছে মৃত্যুর আগে ও পরে সমানভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। শুধু তাই নয় দিন যত যাচ্ছে সারাবিশ্ব বঙ্গবন্ধুকে নতুন করে জানছে-চিনছে। তাঁর মহান আদর্শ পৃথিবীময় ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি দিন দিন আরো বেশি উদ্ভাসিত হচ্ছেন- উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছেন। তাঁর মহিমা সারা পৃথিবীর শোষিত নিপীড়িত মানুষের কাছে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গোলাম ফারুক প্রিন্স আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের অলিখিত ভাষণের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর ভাষণ এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি অসম্ভব মেধাবী ছিলেন। তিনি ব্যাপক পড়াশোনা করতেন, খুবই উঁচু মানের লেখক ছিলেন, তাঁর বই পড়লে আমরা এক বিশাল লেখককে পাই। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে। ছাত্রদের প্রধান কাজ পড়াশোনা করা, রাজনীতি নয়। তবে রাজনীতি সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, এ ধরণের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজনের মধ্য দিয়ে এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয় সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন। দেশ সেবাই ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার এবং ফার্মেসী বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
বিশেষ অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. এম রোস্তম আলী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ১০১তম জম্মবার্ষিকীতে আমরা আমাদের পরিবারের বাইরের স্থানীয় মানুষকেও সেবা দিতে চেয়েছি। কারণ বঙ্গবন্ধুর আদর্শই ছিল মানুষের সেবা। বঙ্গবন্ধুর চেতনা’ই যেহেতু আমরা লালন করি তাই এই ক্যাম্পের আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে অনেকে উপকৃত হবেন। আমরা ভবিষ্যতে একটা ফিজিওথেরাপি সেন্টার চালু করতে চাই।
১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ১০১ জন্মবার্ষিকী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এদিকে “তারুণ্যের ভাবনায় বঙ্গবন্ধু” শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
১৭ মার্চ জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে সাভারের সিআরপি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ও আশে পাশের স্থানীয়দের জন্য ফ্রি মেডিকেল চেক আপের আয়োজন করা হয়। ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সজল কুমার দাস ও ফিরোজ কবিরের নেতৃত্বে দুইজন মহিলা থেরাপিস্টসহ আটজন থেরাপিস্ট অংশগ্রহণ করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।