নিজ পরিবারে ফিরতে চান স্মৃতিভ্রম এক নারী
আল এনায়েত করিম রনি, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রাজারহাটে দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর ধরে স্মৃতিভ্রম নাম পরিচয়হীন চল্লিশোর্ধ এক নারী একটি পরিবারে আশ্রয়ে রয়েছেন। এরই মধ্যে আশ্রয়দাত্রী ইহলোক ত্যাগ করেছেন। তার সন্তানেরা আগলে রেখেছেন সেই নারীটিকে। এখন নারীটির সাথে সেই পরিবারের লোকজনও চান স্মৃতিভ্রম ওই নারীটি শেষ বয়সে তার পরিবারের কাছে ফিরে যাক। পাক পরিবারের সান্নিধ্য। এজন্য নারীটির ছবি নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন তারা। আশ্রয়দাতা সুইট রানা জানান, ২০১২ সালের দিকে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহটি এলাকায় অসুস্থ্য অবস্থায় ওই গৃহবধূ নারীটিকে দেখতে পাওয়া যায়।
সেই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় চাকিরপশার ইউনিয়নের ফুলকার চাকলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ও আমার মাতা ফাতেমা বেগম লোকজনের অনুরোধে অসুস্থ্য মহিলাটিকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। মহিলাটিকে আমাদের চাকিরপশার ইউনিয়নস্থ রতিরাম কমলওঝা বাড়িতে এনে চিকিৎসা করে সুস্থ্য করে তোলা হয়। কিন্তু তার পুরনো স্মৃতি আর ফিরে আসেনি। ফলে বাড়ীতেই তার থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানেই কাজকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তিনি। এরই মধ্যে আমার মা গত ২০১৯ সালে পরলোকগমন করেন। এরপর থেকে পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে তাকে আমার কাছেই রেখেছি। এখন আমরাও ওই মহিলার মত চাই তিনি শেষ সময়ে তার পরিবারের কাছে ফিরে যাক। এতে তিনি তাদের ভালবাসার সান্নিধ্য পাবেন, আমরাও দায়মুক্ত হবো। স্মৃতি ভ্রষ্ট ওই নারী জানান, আমার কিছু মনে পরে না।
আমি আমার পরিবার সম্পর্কে জানতে চাই। ফিরে যেতে চাই তাদের কাছে। জানিনা সেটা সম্ভব কিনা। প্রতিবেশী ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদ জানান, ওই মহিলাটিকে সম্মানজনকভাবে মাথা গোঁজার ও খাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে শিক্ষিকা ফাতেমা বেগম ও তার পূত্র সুইট রানা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মহিলাটির ছবি প্রকাশ করে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলে সবচেয়ে ভাল হয়। এ ব্যাপারে চাকিরপশার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নাম পরিচয়হীন নারীটি তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করা হলে ছবি দেখে তার পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসতে পারবে। এজন্য আমার ০১৭৩৩৭৩৭৪৯১ নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হল।