ডোমারে চাকুরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা : গ্রেফতার-১
সত্যেন্দ্র নাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি: প্রতারণার মামলায় নীলফামারীর ডোমারে চাকুরী দেওয়ার নাম করে খন্দকার মোমেন রানা (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে ডোমার থানা পুলিশ। উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের উত্তর গোমনাতী ডাঁঙ্গাপাড়া এলাকা থেকে (৩০শে মে) রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার (৩১মে) সকালে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে ঢাকা জেলার ভাটারা উপজেলার মৃত খন্দকার ওয়ালী মিয়ার ছেলে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলার ভাটারা উপজেলার মৃত খন্দকার ওয়ালী মিয়ার ছেলে খন্দকার মোমেন রানা নিজেকে কেএসএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয় দেয়। তার সহযোগী শাহিন এর সাথে পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের আব্দুল ওহাবের ছেলে শরিফুল ইসলামের পরিচয় হয়। মোমেন রানা শরিফুলকে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে সচিবের সাথে তার ভাল সর্ম্পক আছে। সৈয়দপুর সরকারী হাসপাতালে অফিস সহায়ক পদে চাকুরী নিয়োগ দেওয়া হবে। চাকুরীর জন্য আপনার কেউ থাকলে বলেন । শরিফুল ইসলাম তার কথা বিশ্বাস করে নিজ ভাতিজা শফিকুুলের জন্য কথা জানায়। এজন্য মোমেন রানা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। চুক্তিমতে গত সাত মে ১০ হাজার ও আট মে ১২ হাজারসহ পরে বিকাশের মাধ্যমে ৪২ হাজার টাকা খন্দকার মোমেন রানাকে দেয় শফিকুলের পরিবার। প্রথম ধাপে ৬৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় মোমেন রানা।
গত ২১ মে সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও মহা পরিচালক আলম আরা বেগম স্বাক্ষরিত একটি স্বারক নম্বর দিয়ে সৈয়দপুর ১০০ শর্য্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে অফিস সহায়ক পদে যোগদানের জন্য নিয়োগ পত্র শরিফুলের হাতে ধরিয়ে দেয়। বাকী ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক মোমেন রানা ও তার সহযোগী শাহিন। শরিফুল তার ভাতিজাকে সাথে নিয়ে গত ২৫ মে সৈয়দপুর হাসপাতালে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে নিয়োগপত্রটি দেখালে তা ভুয়া বলে প্রমানিত হয়। পরে তারা নীলফামারী সিভিল সার্জনকে জানালে তিনিও একই কথা বলেন।
ঘটনার দিন শনিবার ৩০মে প্রতারক মোমেন রানা উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নে আরেক চাকুরী প্রত্যাশীর বাড়ীতে গেলে ভুক্তভুগী শরিফুল সেখানে প্রতারক মোমেন রানাকে আটক করে থানায় সংবাদ দিলে ডোমার থানার পুলিশ তাকে আটক করে। পরে শফিকুল বাদী হয়ে মোমেন রানা ও তার সহযোগী শাহিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। মামলা নং- ৫৮, তারিখ- ৩০/০৫/২০২১ইং দায়ের করে। ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা প্রতারক চক্রের সদস্য। চাকুরী দেয়ার নাম করে অনেক মানুষকে সর্বশান্ত করেছে। বাদীর এজাহারের ভিত্তিতে খন্দকার মোমেন রানাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে সহযোগী শাহিন পলাতক রয়েছে। তাকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।