প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

0

(০৭/০৬/২০২১): গত কয়েকদিন ধরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যের গাড়ি ক্রয় এবং অডিট আপত্তি সংক্রান্ত খবর বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হয়েছে। প্রত্যেকটি সংবাদ মাধ্যমের ব্যবস্থাপনা ও সংবাদকর্মী স্বতন্ত্র হওয়া সত্ত্বেও সবকটি নিউজ পোর্টালের এই সংক্রান্ত সংবাদের ভাষ্য, তথ্য, বক্তব্য, উদ্বৃতি হুবহু একই হওয়ায় এটাই প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কুচক্রী মহল বিশ্ববিদ্যালয় ও মাননীয় উপাচার্যের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে সম্মানীত সাংবাদিকদের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য সরবরাহ করেছে। প্রকাশিত সংবাদে সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতা লংঘন করা হয়েছে। এই সংবাদে বস্তুনিষ্ঠতার কোন উপাদানই নেই। মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, মিথ্যা, বানোয়াট সংবাদ পরিবেশন করায় কর্তৃপক্ষ এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

২০১৮ সালের ৭ মার্চ যোগদানের পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন উপাচার্যের গাড়ি ক্রয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক অনুমোদন দেয়। অনুমোদিত প্রাপ্ত টাকা থেকেই সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রগতি থেকে সকল নিয়মনীতি মেনেই গাড়ি ছঢ ক্রয় করা হয়। যা রিজেন্ট বোর্ডের অনুমোদন প্রাপ্ত। বর্তমান উপাচার্যের ব্যবহৃত গাড়ি (পাবনা-ঘ-১১০০৬১) এর মূল্য ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা উল্লেখ করে মিথ্যাচার করা হয়েছে সংবাদটিতে। গাড়িটির ক্রয়ের কার্যাদেশ সরবরাহকারী তৎকালীন পরিবহন প্রশাসক মোঃ রাশেদুল হক ০৭/০৪/২০১৯ তারিখের স্মারক নং পাবিপ্রবি/রেজি/পরি/০৯/৭১ এর মূল্য উল্লেখ করেছেন আয়কর ও ভ্যাটসহ ৯০,৩৫,৬০০/- (নব্বই লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার ছয়শত) টাকা। সুতরাং গাড়ি ক্রয় নিয়ে সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার করেছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রগতি থেকে গাড়ি ক্রয়ে কোন অনিয়মের সুযোগ নেই।
চালকের বেতন, জ্বালানী যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন পুল সরবরাহ করে। এখানে কোন অনিয়মের সুযোগ নেই। গাড়ির লগ বইতে তা প্রতিদিন লিপিবদ্ধ করা হয়। এক্ষেত্রেও বানোয়াট তথ্য দিয়েছেন সাংবাদিক। গাড়ি কেনার আগেই ২৫ লাখ টাকা খরচের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে রাজশাহীতে গাড়ি ব্যবহার করা হয়। এটি মিথ্যা বানোয়াট তথ্য। সরেজমিনে এলেই দেখা যাবে গাড়িটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যবহার করছেন উপাচার্য মহোদয়। মূলত প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তা হওয়ায় উপাচার্য সার্বক্ষণিক গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। ছুটির দিনে উপাচার্য রাজশাহীতে অবস্থান করলে উপাচার্য ও তাঁর পরিবার গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। এটা আইনসিদ্ধ ও চলমান প্রথা। যা সকল প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এখানে নিয়মের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।
সংবাদে রাজশাহীতে উপাচার্যের পৈতৃক বাড়ি থাকার কথা উল্লেখ করা হলেও প্রকৃত সত্য তাঁর পৈতৃক বাড়ি পাবনার নাটিয়াবাড়ীতে। রাজশাহীতে তাঁর নিজস্ব বাড়ি। সেখানে উপাচার্য মহোদয়ের পরিবার বসবাস করেন।

কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে
বার্তা প্রেরক-
স্বাক্ষরিত/-

মোঃ ফারুক হোসেন চৌধুরী
উপ পরিচালক, জনসংযোগ দপ্তর
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা।
মোবাইলঃ-০১৭১১৯৪২২১২

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.