পাবনা জয় কালীবাড়ি মন্দির নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা

0

আজ ১৫/০৪/২০২২ তারিখ বেলা আনুমানিক ১১.৩০ মিনিটের সময় প্রভাষ ঘোষ দুখু এবং সৌমেন সাহা ভানু শ্রী শ্রী জয়কালী বাড়ি মন্দিরে সভাপতি বা সম্পাদক কারও কাছেই কোন অনুমতি না নিয়ে এক সভা আহ্বান করেন। বিষয়টি আমার জানা ছিলনা। প্রতিদিনের মত ভক্তি জানাতে মন্দিরে উপস্থিত হলে আমার কাছে প্রভাষ ঘোষ দুখু নাট মন্দিরের চাবি চান। আমি কারণ জানতে চাইলে বলেন এখানে একটি সভা হবে। কিন্তু এভাবে সভা করাটি মন্দিরের গঠনতন্ত্রের নিয়মে না থাকায় আমি আপত্তি জানাই।

সে সময় উপস্থিত জেলা পরিষদ এর প্যানেল চেয়ারম্যান শ্রী বিজয় ভূষণ রায় বলেন এটি শান্তিপুর্ন মত বিনিময় সভা হবে কাজেই তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করেন এবং আমাকেও সে সভায় উপস্থিত থাকবার জন্য বলেন। উক্ত সভায় শ্রী বিজয় ভূষন রায় হাজরা খেলা বন্ধ কেন ছিল সে বিষয়ে আমাকে অবহিত করার জন্য বলেন। আমি বিষয়টি যথাযথ ভাবে ব্যাখ্যা করছিলাম। হঠাৎ আচমকা আশিষ বসাক এবং তাঁর সাথে বেশ কিছু উত্তেজিত ছেলেরা সভাস্থলে প্রবেশ করে এবং আমার দিকে আক্রমণাত্মক ভাবে ধেয়ে আসে।

সে সময় উপস্থিত তপন সরকার হরি সহ বেশির ভাগ উপস্থিত সদস্য সে সব ছেলেদের বাধা দেবার চেষ্টা করেন। কিছু বুঝে উঠার আগেই উত্তেজিত ছেলেরা তপন সরকার হরির উপর চড়াও হয় এবং মন্দিরের টেবিল চেয়ার ভাংচুর করে। পাবনা থানা পুলিশ এবং ডিবি সদস্যরা দ্রুত উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের মন্দির থেকে বের করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সে সময় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র ঘোষ, বিশ্বজিৎ ঘোষ, বিজয় ভুষণ রায়, প্রভাষ ভদ্র এবং প্রদীপ সাহা সহ বেশিরভাগ হিন্দু নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তিতে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীরা বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে সাধারণ মনুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ফলে সাধারণ মানুষ যেন এরকম মিথ্যা সংবাদে বিভ্রান্ত না হয় সে বিষয়ে অনুরোধ করছি। আশা করি সত্যের জয় হবে। (প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

সংবাদ প্রেরক :
প্রলয় চাকী
সাধারণ সম্পাদক জয় কালীবাড়ি মন্দির

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.