কাপ্তাইয়ে কঠোর লকডাউনেও ১২দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখীতে
মাহফুজ আলম, কাপ্তাই ( রাঙামাটি) থেকে : কাপ্তাইয়ে কঠোর লকডাউনেও ১২দিনের ব্যাবধানে আজ ১১ জনসহ করোনা সংক্রমণ রোগীর সংখ্যা ৭৯ জনে পৌঁছেছে। প্রতিদিনের রেকর্ড ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে কাপ্তাইয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে করোনার সংক্রমণ।ঊর্ধ্বমুখী শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে দেখে মুখে কিছুটা হা-হুতাশ করলেও বেশির ভাগ মানুষের আচরণ ও চলাফেরা সেই আগের মতোই। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মানুষকে রাখতে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ সমুহ যত পদ্ধতিই নিক না কেন, এর কোনোটাতেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মানুষ মনোযোগী হচ্ছে না। অন্য দিকে সরকার প্রজ্ঞাপনে যতটা কঠোর হওয়ার কথা বলেছে, বাস্তবে তার খুব একটা দেখা মিলছে না। অথচ জুলাইয়ে সংক্রমণ বাড়ার পূর্বাভাস মার্চেই দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই পূর্বাভাসই এখন সত্যি হয়ে চোখ রাঙাচ্ছে আরো ভয়াবহ পরিস্থিতির।
এদিকে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে ১ জুলাই থেকে সারাদেশে শুরু হওয়া সর্বাত্মক লকডাউনের সাত দিন অতিবাহিত হয়ে ১২ জুলাই দুপুর পর্যন্ত এ ১২দিনে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এন্টিজেন ও রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী কাপ্তাই উপজেলায় ৭৯ জন করোনা প্রজেটিভ। অনুসন্ধানে জানা যায় কাপ্তাইয়ে গণপরিবহন বন্ধ থাকা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্টগুলোয় কড়াকড়ি ছাড়া জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক। কাঁচাবাজারে ভিড় অনেকটা আগের মতোই, অলিগলিতেও চলছে আড্ডাবাজি।কাপ্তাই উপজেলা হাসপাতাল সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে বেচাকেনার ধুপ.মানছনা সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও বিধি-বিধান ফলে এই লকডাউন করোনা নিয়ন্ত্রণে কতটা কার্যকর ভুমিকা রাখবে, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
মানুষ নিজেই নিজেকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে
সামনে ভয়ঙ্কর দিন অপেক্ষা করছে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মানুষের চলাচলে উদ্বেগ প্রকাশ কর কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের-আবাসিক চিকিৎসক ওমর ফারুক রনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আরো জানান কাপ্তাইয়ে চলমান লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করার ঘটনা ঘটছে। এতে করে রোগীর সংখ্যা যদি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তাহলে আবার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।