বাকবিতন্ডায় শেষ হলো নির্বাচন;সাধারণ সম্পাদক পদ শুণ্য
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতি ২০২২ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে দুই প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় পদটি শূন্য রেখেই অপূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশনার। গঠনতন্ত্রে না থাকায় সমান ভোটের সমাধান দিতে পারেনি বলে কমিশনের দাবি। এদিকে কমিশনের সামনেই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে নীল দল ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের শিক্ষকরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই ভোট গ্রহণ চলে। ভোট গণনা শেষে সন্ধা ৬ টায় নির্বাচনি ফলাফল প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এস এম মাহবুবুর রহমান। নির্বাচনে প্রচার সম্পাদক ব্যাতিত ১১ টি পদের ৯টিতে জয় পায় নীল দলের প্রার্থীরা।
সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়াই এসময় বাকি ১০ জন সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সভাপতি পদে নির্বাচিত হন নীল দলের অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর।
এছাড়াও বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হন সহ-সভাপতি পদে নীল দল থেকে বিজিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবু নছর মিয়া। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নীল দল থেকে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাদশা মিয়া। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হন নীল দল থেকে ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ফাহদ হুসাইন। প্রচার সম্পাদক পদে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ থেকে শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মোহম্মদ সিয়াম। ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে নীল দল থেকে ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মারুফ রহমান।নির্বাচনে ৪টি সদস্য পদে নির্বাচিত হন নীল দল থেকে শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বিপ্লব মল্লিক, অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মজনুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক ছারোয়ার উদ্দিন, এমআইএস বিভাগের প্রভাষক মুহাম্মদ আবদুস সালাম।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রহমান বলেন “সাধারণ সম্পাদক পদে দুই প্রার্থীর ভোট সমান হয়েছে। নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সংবিধানে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো আইন নেই। তাই পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক কিভাবে নির্বাচিত করবে এই সিদ্ধান্ত শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গ্রহন করবে। নির্বাচন গ্রহনের মাধ্যমে আমরা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছি।”
নীল দল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, আমি চেষ্টা করি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে নিজেকে সংযুক্ত রাখতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আমার প্রতি আস্থা রেখেছে এ জন্য আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। দুই প্রার্থীর ভোট সমান হওয়ায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় নির্ধারণ হবে কীভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে আবার নির্বাচন হবে। আমি আশাবাদী পরবর্তী নির্বাচনেও শিক্ষকরা আমার প্রতি আস্থা রাখবে।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল বাশার বলেন, “অপূর্ণাঙ্গ কমিটির কাছে নির্বাচন কমিশনার দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পারেন না। আমি আশা করছি সুষ্ঠু গণতন্ত্র রক্ষার্থে এই পদে পুনরায় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচন কমিশন পূর্ণাঙ্গ কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। এ ছাড়া অনিয়ম হটলে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা জানান এ প্রার্থী।”