চাটমোহরে বিলকুড়ালিয়ার খাসজমি বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ভূমিহীনদের সমাবেশ
পাবনা প্রতিনিধি : সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকারের সাথে পাবনার চাটমোহর উপজেলার বিলকুড়ালিয়া মৌজার খাসজমি বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ভুমিহীনদের সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে চাটমোহর উপজেলার হরিপুর প্রথম চৌধুরীর পৈত্রিক ভিটায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এএলআরডি’র সহযোগিতায় স্থানীয় ভূমিহীন উন্নয়ন সংস্থা (এলডিও) এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা। প্রধান আলোচক ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হেলালুর রহমান জুয়েল।
ভূমিহীন নেত্রী ছানোয়ারা খাতুনের সভাপতিত্বে ও ভূমিহীন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নুরে আলম মঞ্জুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য দেন, ভূমিহীন উন্নয়ন সংগঠক ইসরাইল আলম, ভূমিহীন নেতা আনোয়ার হোসেন, ভূমিহীন নেত্রী মর্জিনা খাতুন।
সমাবেশে ভূমিহীনরা বলেন, ভাদড়া ও লাউতিয়া সংলগ্ন চিকনাই নদীতে স্লুইসগেট থাকায় এবং খাল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিলে প্রচুর কচুরিপানা উৎপন্ন হয়। সেইসাথে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। যে কারণে ফসল উৎপাদন চরমভাবে ব্যাহত হয়। তাই ভাদড়া স্লুইসগেট অপসারণ করে ব্রিজ নির্মাণ, বিলকুড়ালিয়া থেকে চিকনাই নদী পর্যন্ত খাল খননের দাবি জানান ভূমিহীনরা। এতে এক ফসলী জমি, তিন ফসলী জমিতে রুপান্তরিত হবে। বাড়বে আবাদি জমির পরিমাণ।
অনুষ্ঠানে এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, বিলকুড়ালিয়ার খাসজমি আন্দোলনে এএলআরডি পাশে ছিল এটা আমাদের সৌভাগ্য। এর কৃতিত্ব আপনাদের। স্থানীয় সাংবাদিকদেরও একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। ভূমিহীনদের প্রতি আমাদের সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। জমির স্বাস্থ্য রক্ষা করতে হবে। প্রাণীসম্পদে স্বয়ংসম্পুর্ন হতে হবে। সমবায় আইন সংস্কার করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সাল থেকে বিলকুড়ালিয়া খাসজমি স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য আন্দোলন করে আসছিলেন ভূমিহীনরা। তাদের আন্দোলনের ২৪ বছর পর ২০১৬ সালের মার্চে ১২শ’ জন ভূমিহীনের মাঝে বিলকুড়ালিয়া মৌজার খাসজমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়া হয়। এখনও ২৩০টি স্থানীয় বন্দোবস্তের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খাসজমিতে চাষাবাদ করে নিজেদের জীবনমান উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে ভূমিহীনরা। আর তাদের আইনী সহায়তাসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে এএলআরডি।