দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় নোবিপ্রবি
রহমত উল্যাহ, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি : ওয়েবমেট্রিক্সের র্যাংকিংয়ে দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২য় অবস্থানে রয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এবং সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১১ তম স্থানে অবস্থান করছে উপকূলের এই বিদ্যাপীঠ।
বিশ্বের দুই শতাধিকেরও বেশি দেশের ৩১ হাজার উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্পেনের মাদ্রিদভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিক্স।
ওয়েবমেট্রিক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশসেরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। তালিকায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে নোবিপ্রবি। আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ২ হাজার ৪৫৩তম।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(মাভাবিপ্রবি),চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি), পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি), ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)।
সপ্তম অবস্থানে রয়েছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি), অষ্টম অবস্থানে রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি), নবম অবস্থানে রয়েছে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাবিপ্রবি) এবং দশম অবস্থানে রয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি)।
নোবিপ্রবির সাফল্যের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, নোবিপ্রবির শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতের লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গবেষণার জন্য শিক্ষকদের আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য স্যারের নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। নোবিপ্রবির সাফল্যে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
প্রসঙ্গত, এই র্যাঙ্কিং তৈরিতে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রভাব, নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রাসঙ্গিকতাসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশগত ভূমিকা বিবেচনা করে মাদ্রিদভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট ছাড়াও তাদের গবেষক ও প্রবন্ধ বিবেচনায় নিয়ে এই তালিকা তৈরি করা হয়।