যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন ও বাস্তবতা – হীরেন পণ্ডিত
১৯৭১-এর গণহত্যা এবং বর্বরতার নিন্দা এখনো করেনি যুক্তরাষ্ট্র। যদিও সে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ছিল মানবতার পক্ষে। মানবতার দাবীদার যুক্তরাষ্ট্র সেদিন মানবাধিকার লংঘনে সমর্থন দিয়েছিল। ১৯৭১-এর বিজয়ের পরও বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ যেন একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়, স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেন টিকতে না পারে, সে জন্য ষড়যন্ত্র অব্যাহত ছিলো, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলেই মনে হয়।
যুক্তরাষ্টের স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রতি বছর নিজ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। সারাবিশ্বে সেটা ছড়িয়ে দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেয় কোন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কি অবস্থা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বাছাই করা দেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রতি বছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে কি বোঝাতে চায় তারাই ভালো জানে তবে বিশ্ব মোড়লতো তারা হয়েই আছে। ২০২২-এ ঠিক এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো এবং তাতে যথারীতি বাংলাদেশসহ অনেক দেশের মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
মানবতাবাদী ও পৃথিবীর মানবাধিকার রক্ষার দাবীদার যুক্তরাষ্ট্র তুরস্ক ও সিরিয়াতে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় সম্প্রতি সেখানে ভূমিকা রাখার বিষয়টি নিয়ে ভাবেনি, সারাবিশ্ব এগিয়ে এলো সিরিয়া ও তুরস্ককে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা দিতে। কারো তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশও এগিয়ে গেলো।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে কিভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, মিয়ামারে কি হচ্ছে সে বিষয়ে কি অগ্রগতি, এই বিষয়গুলো নিয়ে কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়না। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আমাদের বাংলাদেশের মানবাধিকার রক্ষার তথাকথিত অগ্রদূতদের বা তাদের তথাকথিত সংগঠনদেরও কোন কথা বলতে শোনা যায়না বড় বড় বিবৃতিও পাওয়া যায়না।
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২২ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সুযোগ নেই, গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, সরকারের বিচার ব্যবস্থার ওপর হস্তক্ষেপ এরকম আরো বিস্তর অভিযোগ। আরও আছে দুর্নীতির প্রসঙ্গ। তবে স্বীকার করেন পশ্চিমা অনেকেই যে তাদের দেশগুলোও সবকিছু থেকে মুক্ত নয়। দুর্নীতি যে আমাদের কিছুটা বেড়েছে, তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে বর্তমান সময়ে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্তদের বিচার হচ্ছে। একসময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতো। বর্তমানে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স অবস্থান, তা আরও কার্যকর করতে হবে এটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
আর শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা? যারা বর্তমান সরকারকে আর সময় না দিয়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়, কোথাও না কোথাও মাইক লাগিয়ে সরকারের আর প্রধানমন্ত্রীর বিষেদগার করেন বিনা বাধায় তাহলে তো এই অভিযোগ তো ধোপে টিকে না। আর গণমাধ্যমের স্বাধীনতা? দেশে এখন প্রায় অর্ধশতাধিক টেলিভিশন ও অনেক এফ এম রেডিও, কয়েক শতাধিক অনলাইন নিউজপোর্টাল আছে, যেখানে যার যা ইচ্ছা বলতে পারছেন যা খুশি লিখতে পারছেন।
জনবহুল রাজপথ দখল করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জনদুর্ভোগ লাঘবে ভূমিকা রাখবে এটাই স্বাভাবিক। যারা অভিযোগগুলো করেছেন তাদের দেশে এ রকম সমাবেশ করতে গেলে সেই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা কি হবে, সেই অবস্থান পরিস্কার করলে ভালো হতো। যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার বিষয়ে মায়াকান্না নতুন কিছু নয়। ২০২৩ সালের নির্বাচনের কথা সামনে রেখেই চলছে এইসব কারণ কয়েক মাস পরেই দেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আমাদের অনেকেই প্রকাশ্যে ও গোপনে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছেন। এই প্রতিবেদন তাদের নেতিবাচক ভূমিকাকে আরো বেগবান করবেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আমাদের এলিট ফোর্স র্যাব যে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সফলভাবে কাজ করেছে, তাতে মনে হয় যুক্তরাষ্ট্র খুশি নয়। আর র্যাবের কিছু কর্মকর্তার ওপর যে অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, একই অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্রের পুরো পুলিশ বিভাগকেই অভিযুক্ত করা যায়, এখানে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার দলিল কি বলে? আসলে যুক্তরাষ্ট্র নানা ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকা-ে তাদের অবস্থানকে নড়বড়ে করে ফেলছে। তারা এও বুঝতে পারছে না বিশ্বে ক্ষমতার ভারসাম্য তাদের অজান্তে সরে যাচ্ছে।
এই রিপোর্টে একটি দিক হলো আমাদের সংস্কৃতি, কৃষ্টির ওপর আঘাতের চেষ্টা। প্রতিটি দেশেই নিজস্ব রীতি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, মূল্যবোধ রয়েছে। বাংলাদেশে পারিবারিক বন্ধন হাজার বছরের পুরনো। পরিবার, নারী-পুরুষ সম্পর্ক, বিয়ে আমাদের সংস্কৃতি এবং কৃষ্টিকে গভীর করেছে। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যে কোনো মানদ-ে আন্তর্জাতিক মানের। ন্যায়বিচারের প্রতিটি ধাপ যথাযথ অনুসরণ করেই এ বিচারকাজ পরিচালিত হচ্ছে। এ বিচার নিয়ে প্রশ্ন উঠেনি। যুক্তরাষ্ট্র কি ১৯৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে পছন্দের কিছু চায়? মার্কিন প্রতিবেদন কি তারই সংকেত, এর উত্তর ভবিষ্যতই বলবে?
সরকার বিরোধী এবং পক্ষপাতদুষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে বলেই প্রতীয়মান হয় অনেকে মনে করছেন। সুতরাং সেই প্রতিবেদনটা একপেশে হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে সার্বিকভাবে আমাদের মানবাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র সংক্রান্ত যে সমস্ত বিষয়াদি আছে সেগুলো পক্ষপাতদুষ্ট মনে হয় তাদের কাছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েও তো অনেক প্রশ্ন আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো এখনো নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি। সেটির প্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যেভাবে ক্যাপিটাল হিলে হামলা হয়েছে সে ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা তো আমাদের দেশে কখনো ঘটেনি।
আগে নিজের ঘর সামলান পরে আসেন অন্যকে পরামর্শ দিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাঝেমধ্যে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যা নিয়ে কথা বলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-ের দিকে তাকালে দেখা যায় ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৬৬৬ জন, ২০২০ সালে ৯৯৬ জন, ২০২১-২০২২ সালে গড়ে প্রায় ১ হাজার জন। যে দেশে গড়ে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সেখানে অন্য দেশকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার কতটুকু আছে, সেটিই হচ্ছে বড় প্রশ্ন। আমাদের দেশে যে কখনো কখনো এমন হয় না, সে দাবি কেউ করেনা। কিন্তু সেগুলোর তদন্ত হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিও হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ২০২২ সালের কান্ট্রি রিপোর্টে কিছু মৌলিক ত্রুটি ও ভুল রয়েছে এবং ঢাকা ওয়াশিংটনের কাছে তুলে ধরবে। প্রতিবেদনে গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ, শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ ও সংগঠন করার অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, ‘শরণার্থীদের’ সুরক্ষা, মৌলিক সেবাপ্রাপ্তির সুবিধা, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের স্বাধীনতা, দুর্নীতি, সরকারি কাজকর্মে স্বচ্ছতার ঘাটতি, বৈষম্য ও সামাজিক নির্যাতন, মানব পাচার, শ্রমিকদের অধিকারসহ নানা বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটা পরিস্কার মানবাধিকার আমাদের সমস্যা থাকলে সমাধান আমাদেরই করতে হবে। বিদেশিরা তাদের স্বার্থে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকে অনেকক্ষেত্রে নাক গলানো যে পুরোনো বিষয়। অবশ্যই কারও মানবাধিকার লঙ্ঘন হোক, কারও প্রতি অন্যায় করা হোক, কারও প্রতি নির্যাতন করা হোক সেটা আমরা চাই না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগের মাত্রা, সে প্রেক্ষাপট থেকে আমাদের যে আপত্তিগুলো আছে সামনের দিনগুলোতে উচ্চপর্যায়ের সফর হবে বা অন্য বৈঠকে রিপোর্টের দুর্বলতাগুলো তুলে ধরতে, যাতে করে সামনের বছরের রিপোর্টে এগুলো না থাকে। রিপোর্টে মৌলিক কিছু দুর্বলতা কি? তার ব্যাখ্যা দিয়ে একটি বন্ধুরাষ্ট্র নিয়ে যখন রিপোর্ট তৈরি করা হয় তখন তা প্রকাশ হওয়ার আগে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়ার কথা। বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু বরাবরের মতো এবারও তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি। সরকারী ভাষ্য থেকে এই তথ্যগুলোই পাওয়া যায়।
তবে বিশেষ করে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের উন্নতি হয়েছে তার প্রতিফলন এই প্রতিবেদনে রয়েছে। গণতন্ত্রের কিছু ত্রুটি দেশে দেশে আছে। যারা অভিযোগ করেছেন তাদের দেশেও আছে। তাদের দেশের গণতন্ত্রও ত্রুটিমুক্ত নয়। আমাদের দেশেও গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নয়। বাংলাদেশ গণতন্ত্রকে আরও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে বলে সবাই মনে করেন। বাংলাদেশের অর্জন, চ্যালেঞ্জ এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ সঠিক রয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল রূপান্তরের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক দৃশ্যপটে দেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়নের গতিপথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্ব।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিবেদনটি দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর কোনো নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পড়েনি। বিশেষ করে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কমেনি। মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদনের কারণে অর্থনীতিতে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানির সঙ্গে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা জড়িত। আমেরিকাতেও পণ্য কিনছে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা। ফলে এ ধরনের প্রতিবেদন বেসরকারি খাতের উপর এখনই কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না। একই সঙ্গে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রেও এর নেতিবাচক প্রভাব আসবে না।
তবে পরিস্থিতি সম্পর্কে এই প্রতিবেদনে যে সব মন্তব্য করা হয়েছে তা সকলকেই বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে। মার্কিন প্রতিবেদনের এই রিপোর্ট বাংলাদেশসহ গোটা উপমহাদেশে নতুন বিষয়ের উদ্রেক ঘটাবে কিনা সময় বলবে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। স্বাধীনতার মূল্য দিতে গিয়ে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন, ২ লক্ষ নারী সম্ভ্রম হারিয়েছেন এবং ১ কোটি মানুষের দেশান্তরিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিগত নির্বাচনগুলিতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার কারণে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট যদি বাংলাদেশসহ মার্কিন জনমত উপেক্ষা করে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে বিপন্ন করতে চায় এবং দক্ষিণ এশিয়ার আ লিক নিরাপত্তাসহ পশ্চিমা দেশসমূহের জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও সমূহ বিপদ ডেকে আনতে না চায় তাহলে প্রকৃত তথ্যের ভিত্তিতে একপেশে না করে যথাযথ রিপোর্ট করায় মনযোগ দিতে হবে। তা হলেই সকলের কল্যাণ হবে।
লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক