উলিপুরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের টাকা আত্মসাথের অভিযোগ
আল এনায়েত করিম রনি ,কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের উলিপুরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির বিকাশ হিসাব নম্বর খোলার কথা বলে টাকা আত্মসাথের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী অভিভাবকগন ক্ষুব্ধ হয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারক অভিযোগ দিয়েছেন। টাকা আত্মসাথের ঘটনাটি ঘটেছে, নয়াবাড়ি ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের নয়াবাড়ি ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম শিক্ষার্থীদের জানান উপবৃত্তির টাকা পেতে হলে প্রত্যেক ছাত্রীকের বিকাশ হিসাব নম্বর খুলতে হবে। এরপর শিক্ষার্থীরা বিকাশ হিসাব নম্বর খোলার জন্য গত ২৮ অক্টোবর ওই শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করেন। এ সময় ওই শিক্ষক ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণির প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ জন শিক্ষার্থীর কাছে ৩শ ৫০ টাকা করে ১৫ হাজার ৭শ ৫০ টাকা আদায় করেন এবং এই টাকা সরকারি হিসাবে জমা হবে বলে জানান। এ কারনে বাধ্য হয়ে দরিদ্র অভিভাবকগণ শিক্ষকের চাহিদা অনুযায়ী ধারদেনা করে ওই টাকা জোগাড় করে দেন। পরবর্তীতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম শিক্ষার্থীদের টাকা নেয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন এবং কেউ যদি তা প্রকাশ করে তাহলে তার উপবৃত্তি বাতিল হবে বলে হুমকি দেন। এরপর অভিভাবকগন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন উপবৃত্তির টাকার জন্য বিকাশ হিসাব নম্বর খুলতে কোন টাকার প্রয়োজন হয় না। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সোমবার (০২ নভেম্বর) মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থী অভিভাবক ফজলু মিয়া ও সামছুন্নাহার বিথী অভিযোগ করে জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম আমাদের কাছ থেকে ৩শ ৫০ টাকা করে উপবৃত্তির বিকাশ নম্বর খোলার কথা বলে আদায় করেছেন। এ বিষয়ে নয়াবাড়ি ভিটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ডাচ বাংলা ব্যাংকে বিকাশ হিসাব নম্বর খুলতে ৩শ টাকা করে লাগে। এছাড়া আনুসাঙ্গিক খরচ আছে। আমি কোন টাকা আত্মসাথ করেনি। শিক্ষার্থীদের এই টাকার রিসিভ দেয়া হবে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রব অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, উপবৃত্তির হিসাব নম্বর খোলার জন্য টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য দেয়া হয়েছে। তদন্তে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।