বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন শেখ হাসিনা
হীরেন পণ্ডিত : বঙ্গবন্ধু কন্যা জননত্রেী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণ, উন্নয়ন ও মুক্তির অগ্রদূত হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া এবং উন্নয়নে তাঁর কোনো বিকল্প নেই।
শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, যৌক্তিক মানসিকতা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে এক ভিন্ন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং তিনি এখন বিশ্বখ্যাত নেতা হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব ধরনের শোষণ, বঞ্চনা, অবিচার ও নিপীড়নের প্রতিবাদে রাজনৈতিকভাবে সোচ্চার, প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করছে এবং তা অব্যাহত রেখেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য কাজ করে আসছে। এই দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয়। এই দলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৭৪ বছরের ইতিহাস এই সত্যের সাক্ষ্য দেয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাহসী কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে এবং তিনি জনগণের কল্যাণে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার অদম্য শক্তি, সাহস, মনোবল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিশ্ব বিস্মিত। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৯তম এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। এদিকে বাংলাদেশকে ২০২৬ সাল থেকে ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২০৪১ সালে ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার বড় প্রমাণ হলো গত কয়েক বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৯৫ ইউএস ডলার। অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিক থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় দেশ।
পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দুর্বার ছুটে চলা এক বিশ্বনেত্রী শেখ হাসিনা। এক নতুন বাংলাদেশের রূপকার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিপুল বিজয় এনে দিয়ে ক্যারিশমেটিক এ নেত্রী। পঞ্চমবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে আরেক রেকর্ড গড়েছেন। দেশ ও জাতির স্বার্থকে সর্বদা সবার ওপরে স্থান দেওয়া শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, “আমার জবাবদিহি দেশের জনগণের কাছে। দেশবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেলে নির্বাচন নিয়ে আর কে কী বলল, তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ। হতে পারে এটি ছোট দেশ, কিন্তু এর জনসংখ্যা অনেক বেশি। জনগণই আমাদের প্রধান শক্তি। কাজেই কে কী বলে, তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। অনেক বাধা মোকাবিলা করে একটি অনুকূল নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে। অনেক বাধা-বিপত্তি ছিল; কিন্তু দেশের মানুষ ভোটাধিকারের ব্যাপারে সতর্ক ছিল। প্রতি পাঁচ বছর অন্তর জাতীয় নির্বাচন হয়। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, আমরা সেই পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। মানুষ এই নির্বাচন গ্রহণ করল কি করল না এটি আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ”।
জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের যে মর্যাদা পেয়েছে, তা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব। জনগণের ওপর এই বিশ্বাস ও আস্থা আমার আছে। ২০০৯ সাল থেকে দেশে এই গণতান্ত্রিক ধারাটা আছে বলেই দেশের এত উন্নতি হয়েছে। আমাদের সামনে আরও কাজ আছে, সেগুলো আমরা সম্পন্ন করতে চাই।
২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করতে পারেনি। সেই নির্বাচনে ৩০০ আসনে বিএনপি পেয়েছিল মাত্র ৩০টি আসন। আর আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩৩টি আসন।
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ হত্যার সময় জার্মানিতে ছিলেন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এরপর প্রায় অর্ধযুগ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন তিনি। হাল ধরেন স্বাধীনতা যুদ্ধেও নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। ৪৩ বছরের রাজনৈতিক পথচলায় ভোটের অধিকার লড়াইয়ে অবিচল পথ হেঁটেছেন তিনি। ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর সপ্তম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শেখ হাসিনা ২৩ জুন প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। নবম সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথগ্রহণ করেন তিনি। সর্বশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি সরকার গঠন করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়ে শেখ হাসিনার পঞ্চমবারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দ্বার উন্মোচিত হলো। দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ারও রেকর্ড হবে এটি। সব মিলিয়ে নতুন বছরে নতুন ইতিহাস গড়েছেন শেখ হাসিনা। এ পর্যন্ত তিনবার বিরোধী দলীয় নেতার দায়িত্বও পালন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
সব জল্পনা-কল্পনা, সংশয়-সন্দেহ, ভীতি-আতঙ্কের অবসান ঘটিয়ে সারা দেশে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া দেশের কোথাও তেমন কোনো বড় ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনে এবং ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে অবাধে যাতায়াত করতে পারে সে জন্য মাঠ পর্যায়ে পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপি, আর্মি, নেভী, কোস্টগার্ডসহ প্রায় ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়াও ভোট গ্রহণের কাজে নিয়োজিত ছিল ৮ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
প্রায় দুই শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। এদের মধ্যে ৭৬ জন সাংবাদিক। এ ছাড়াও কয়েক হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।
ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট দিয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও ভোটাররা বেশ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
নির্বাচন বিরোধী অপপ্রচার, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টার পরও সারা দেশে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক। এটা গণতন্ত্রের জয়। নিরপেক্ষ নির্বাচন করার যে ঘোষণা নির্বাচন কমিশন ও প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী সভাপতি শেখ হাসিনা দিয়েছিলেন তা বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এদিকে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আন্তরিকতা ও সহযোগিতার কারণে জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সরকারের আন্তরিকতা রয়েছে এবং সরকারের আশ্বাস অনুযায়ী আমরা সহায়তা পেয়েছি, তাই দলীয় সরকারের অধীনে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ৪১.৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
সকল ষড়যন্ত্র সফলভাবে মোকাবিলা করে নেতৃত্ব দিয়ে তার দল আওয়ামী লীগকে আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী করে ক্ষমতায় আনতে সক্ষম হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর মেয়াদকে বাংলাদেশের ইতিহাসে উন্নয়নের স্বর্ণযুগও বলা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। সেসময় শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। এরপর ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেই দেশে ফেরেন।
সফলভাবে টানা ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশের চিত্রই পাল্টে দেন। বাংলাদেশ এখন সত্যিকারের এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী ট্যানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সকল মেগা প্রকল্পের দ্বার উদঘাটন করার মাধ্যমে দেশের মানুষ ১৫ বছর ধরেই দেখেছেন দেশের উন্নয়ন-সফলতা ও অগ্রগতির শেখ হাসিনার ম্যাজিক।
এছাড়া দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অন্তত ১৯ বার তার প্রাণনাশের চেষ্টা চালানো হয়। এর মধ্যে ২১ আগস্ট ভয়াল গ্রেনেড হামলাও রয়েছে। রাজনৈতিক কৌশল ও বুদ্ধিমত্তায় তাঁর সমকক্ষ যে দেশে আর কেউ নেই সেটা আবার প্রমাণ করলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু রাষ্ট্রনায়কই নন; বিশ্বের ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্বের তালিকায়ও রয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যার নাম। ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০২৩ সালের বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকায় ৪৬তম অবস্থানে রয়েছেন শেখ হাসিনা।
জার্মানির অ্যাঞ্জেলা মার্কেল টানা চার মেয়াদে ১৬ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ইন্দিরা গান্ধী তিন মেয়াদে ক্ষমতায় ছিলেন ১৫ বছরের কিছু বেশি সময়। তাদের রেকর্ড আগেই ভেঙেছেন এখন লিখছেন নতুন ইতিহাস।
নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক করতে দলের নেতাদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার পথ উন্মুক্ত করেন তিনি। তার এই ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের অনেক বড় নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট শরিকদের হারতেও হয়েছে। দেশীয় উৎপাদন বাড়ানো, অবকাঠামো উন্নয়ন, রাস্তাঘাট সম্প্রসারণ ও পাকাকরণ, শিক্ষা, চিকিৎসায় আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন তিনি। এছাড়া দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা, পোশাক খাতে উন্নয়ন, শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় কঠোর হস্তে কাজ করেন শেখ হাসিনা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ দমন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কারণে এসব নেতিবাচক প্রভাব গত দেড় দশকেও সেভাবে প্রবল হতে পারেনি। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট পাঠানো, নারীর ক্ষমতায়ন, সরকারি সেবা ডিজিটালাইজেশন, গ্রামীণ পরিবেশেও শহরের সেবা. আমার আমার শহর, আমার বাড়ি আমার খামার নিশ্চিত করতে সক্ষম হয় আওয়ামী লীগ। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত নিজের তত্ত্ববধান করেন করেন নিজেই।
ভোটের সার্বিক পরিস্থিতিতে বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের পর্যবেক্ষক দল প্রশংসাসূচক ও ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে এত ভোটারের উপস্থিতি ও ভোটকেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট এবং ভীষণ আশাবাদী। রাজধানীর বাইরে চল্লিশ থেকে সত্তর শতাংশ ভোটারের উপস্থিতি দেখে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন তারা। বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরবেন বলেও জানান যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের পর্যবেক্ষক দল।
যুক্তরাষ্ট্রেও ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনীতিবিদ জিম ব্যাটস বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে ভোট পরিচালনা করেছে। কানাডায়ও ভোট ৪৩ শতাংশ পড়েছিল, সেটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। জনগণ ভোট দিতে পারছে কি না, এটাই দেখার বিষয়। নাইজেরিয়ার সিনেটর প্যাট্রিক সি বলেন, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিতে দেখেছি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।
স্বচ্ছ ভোটার তালিকা ও ভোট পদ্ধতির প্রশংসা করেন তিনি। রাশিয়ার প্রতিনিধি আন্দ্রে শুটব বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ, খোলামেলা ও বিশ্বাসযোগ্য হয়েছে। ভোটের নিরাপত্তার পরিবেশও খুব ভালো ছিল। ভোটের প্রশংসা করে আরো প্রতিক্রিয়া জানান, স্কটিশ পার্লামেন্ট, ওআইসি, আরব পার্লামেন্ট ও গাম্বিয়ার প্রতিনিধিরা।
পৃথিবীর বহুদেশে এখন নারী শাসক রয়েছে। জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ভারত, লাইবেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই হয় নারী প্রেসিডেন্ট, না হয় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তথ্য-প্রযুক্তিতে, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। সামাজিক উন্নয়ন সূচকে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক ভালো। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে ‘ভিশন-২০৪১’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
বাংলাদেশে যে নারীর অগ্রগতি এর মূল কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। নারী বিষয়ে তার উদারনৈতিক ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি অসাধারণ। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে তার অবদান অপরিসীম ও অতুলনীয়। বাংলাদেশকে তিনি উচ্চতম স্থানে নিয়ে গেছেন। বিশ্বে শেখ হাসিনাই সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ক্ষমতাসীন নারী সরকারপ্রধান।
দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমান সরকার দেশের কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধির ভিত্তি রচনা করতে সক্ষম হয়েছে। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমেছে। তথ্য-প্রযুক্তিতে, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। সামাজিক উন্নয়ন সূচকে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক ভালো। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
একটি নতুন স্মার্ট মন্ত্রিসভা গঠন করে দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান নেবেন- এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা আর্থিক খাতের অনিয়ম দূর করে এবং পুঁজিপাচার রোধে দৃঢ়তা দেখাতে হবে। শেখ হাসিনা এখন বিশ্বের সেরা উদাহরণ এবং বিশ্ব নেতারা বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় তাঁর উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
হীরেন পণ্ডিত: প্রাবন্ধিক ও গবেষক