মাঠের ধান গরম হাওয়ায় পুড়ে গেছে, সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে নেকব্লাষ্ট রোগে, কৃষকের মাথায় হাত

0

ইউসুফ আলী মন্ডল নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকদের মাঠের পর মাঠপুড়ে গেছে গরম বাতাসে সেই সাথে নেকব্লাষ্ট রোগেও নষ্ট করছে মাঠের ফসল । উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের ১ পৌরসভায় বসবাসরত কৃষক পরিবার ৯২ হাজার তার মধ্যে ধানী জমি ১৭৫০ হেক্টর যা আবাদ যোগ্য এছাড়াও ফসল বিন্যাস অনুযারী আরও কৃষি জমি রয়েছে কিন্তু বিগত বছর গুলোর চেয়ে এ বছর কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অনেক চাষী উন্নত উফশী জাতের ধান ও হাইব্রীড ধান রোপন করেছিল ও ১ একর জমিতে উন্নত হাইব্রীড জাতের ধানের ফসল আসে ১২০ মন , বর্তমানে পরিবেশ ভালো থাকায় ৭০মন করে ধান পাচ্ছেন কৃষক । আর যাদের জমি আক্রান্ত হয়েছে নেকব্লাষ্ট রোগে তাদের জমিতে ফলন আসছে মাত্র ২০ থেকে ২৫ মন ।

যেসকল কৃষকের জমি গরম বাতাসে পুড়ে ছাড়খার হয়ে গেছে তাদের কোন ফসল ঘরে তুলতে পারছে না । ক্ষোভে কৃষক মাঠের ধান মাঠেই রেখে দিচ্ছেন । গত ২ সপ্তাহ আগে গরম বাতাস ধানের ক্ষতি করলে মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকতা, উপজেলা চেয়ারম্যান , ভাইস চেয়ারম্যান , মাঠ দেখতে গিয়ে কৃষকদের কে আশ্বাস দেন সরকারী সাহায্যের । উপজেলা কৃষি অফিসার পরেশ চন্দ্র দাস জানান মোট ৩৮ হেক্টর জমি গরম বাতাসে নষ্ট হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক ৫৫০ জন আসলে প্রকৃতপক্ষে গরম বাতাস ও নেকব্লাষ্ট রোগে ২০০ হেক্টর জমি পুড়ে ছাই হয়েছে । বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ চাষীর সংখ্যা হবে এক হাজার থেকে দেড় হাজার । নেকব্লাষ্ট ও বাতাস ধানের জমীনকে নষ্ট করার ফলে ধান চিটা হয়ে গেছে । আক্রান্ত ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা মন ভালো মানের ধান বিক্রি হচ্ছে ৭২০ টাকা প্রতি মন । নকলা উপজেলার প্রায় ২০০ কোটি টাকার বোর ফসল নষ্ট হয়েছে বলে অনেকে জানিয়েছেন ।

 

আপনি এগুলোও দেখতে পারেন

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশ করা হবে না.