ডোমারে পাকা বোরো ধানে চিঠা দিশেহারা কৃষক
সত্যেন্দ্রনাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমারে পাকা বোরো ধান ব্লাস্ট রোগে (চিঠা) পরিনত হওয়ায় দিশেহারা হয়ে কৃষক।আর মাত্র পনের হতে বিশ দিনের মধ্যেই বোরো আবাদের একশর মধ্যে ৯০ ভাগ ধান ঘরে তুলবে কৃষক।এরই মধ্যে ধানক্ষেতে দেখা দিয়েছে নানা রোগবালাই, মঙ্গলবার ২৬ শে এপ্রিল উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের হংসরাজ গ্রামের দিনেষ রায়ের ছেলে গৌরাঙ্গ রায়ের জমিতে গিয়ে দেখা যায় তার ১একর চাষাবাদের সম্পুর্ন জমিনের ধান ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত (চিঠা) হয়েছে, তার মধ্যে ১২ শতাংশ জমিনের ধান সম্পুর্ণ চিঠায় নস্ট হয়েগেছে।
কথা হলে জানান উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার এর পরামর্ষে ঔষধ স্প্রে করেছি তাতে কোন কিছুতেই কাজ হয়নি, এখন নষ্ট হওয়া ধান গরুকে কেটে খাওয়ানো হচ্ছে। ক্ষতির কারনে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে কৃষকের মনে। মানুষের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হলো খাদ্য (ধান), প্রাকৃতিক দুর্যোগ শিলা বৃষ্টি , পোকার আক্রমণ, ব্লাস্টরোগ সব প্রতিকুলতা পেরিয়ে কৃষক যদি ধান ঘরে তুলতে না পারে তাহলে আগামীতে খাদ্যের দাম বৃদ্ধির কারনে মানুষে হতে পারে চরম দুর্ভোগ।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি অফিসার আনিছুজ্জামান জানান প্রাকৃতিক বিষয়ে আমাদের কোন হাত নেই, তবে এবার উপজেলায় বোরো চাষাবাদের পরিমাণ১৩ হাজার দুই শত ত্রিশ হেক্টর। এবারে রোগবালাই ২৮ ধানে বেশি, কৃষিঅফিস ও আমাদের পক্ষ থেকে ২৮ ধান চাষাবাদে কৃষক কে নিষেধ করে হয়ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগবালাই, আবহাওয়ার কারনে কিছু ফসল তো নস্ট হতে পারে। রোগ বালাই সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতার সবটুকু দিয়ে যেকোনো চাষাবাদে কৃষককে সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।