নীলফামারীতে সমলয় চাষাবাদ – স্বল্প খরচে অধিক ফলন
সত্যেন্দ্র নাথ রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি: প্রযুক্তির ব্যবহারে যখন এগিয়ে যাচ্ছে দেশ সেই সময়ে কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি মন্ত্রনালয়ের বিশেষ উদ্দ্যোগে নীলফামারীতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই প্রথম অল্প খরচে ভালো মানের চারা উৎপাদন ও অধিক ফলনের জন্য সরকারের প্রণোদনায় সমলয় পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের নিয়ে ট্রে-পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরী করা হয়েছে।
সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তরনীবাড়ী ব্লক এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বীজতলা তৈরীর এক নতুন চিত্র। প্রতি ট্রে-তে ধানবীজ ১০০-১২০ গ্রাম দেওয়া হয়। স্থানীয় কৃষকদের চাহিদা অনুয়ায়ী হাইব্রীড সুরা-১৪ বীজ ব্যবহার করা হয়েছে। একর প্রতি ৯০টি ট্রে’র বীজতলা প্রয়োজন । ৫০ একর জমিতে সমলয় বোরো ধান চাষ যা কৃষি যান্ত্রিকরনের মাধ্যমে প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করা হবে। মোট সুবিধাভোগী কৃষক-কৃষাণীর সংখ্যা ৭৭ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫৫ জন ও মহিলা ২২ জন।
সংশ্লিষ্ঠ ব্লকের দায়িত্বরত কৃষি অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পার্থপ্রতিম রায় বলেন, কৃষি অধিদপ্তরের অন্যতম কাজ হলো কৃষিকাজে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষির সম্প্রসারন করা এবং সেই লক্ষ্যে নতুন এই প্রযুক্তি বাস্তবায়নে স্থানীয় কৃষক-কৃষাণীদের সমন্বয়ে সমলয় চাষাবাদের কার্যক্রম চলছে। কৃষক আব্দুল গণি , শামসুল হক , আলামিন , আমিনুর জানান, এই প্রথম ট্রে-তে বীজতলা দেখছেন তারা। সফল হলে আগামীতে এর ব্যাপক চাহিদা বাড়বে বলে মত প্রকাশ করেন।
কৃষি অধিদপ্তরের সুত্রমতে ৩০ দিনের মধ্যে ট্রে-তে লাগানো বীজের চারাগুলো তৈরী হয়ে যাবে , পরবর্তীতে ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে চারাগুলো বপন করা হবে। নীলফামারী কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল এর সাথে মুঠোফোনে এ বিষয়ে কথা হলে বলেন দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে এ পদ্ধতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং কৃষকরা লাভবান হবে। তিনি আরো বলেন এবারে জেলায় ৮১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ।