ইউসুফ আলী মন্ডল, নকলা প্রতিনিধি : শেরপুর জেলার নালিতবাড়ি উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম। এক সময় অভাবের তারনায় লেখাপড়া করতে পারেনি মাত্র ৫ ম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে টেনে ধরেন সংসারের হাল ৬ ভাই ৩ বোনের মধ্যে ২য় সন্তান রফিকুল ইসলাম তিনি ১৯৯৫ সালে নিজের পতিত জমিতে স্থানীয় ব্র্যাক চেয়ারম্যান ফজলে আবেদ সাহেবের কাছ থেকে ৪ কেজি উন্নত জাতের ভুট্রানিয়ে রোপন করেন নিজের জমিতে ভালো ফসল পাওয়ায় তিনি সেই ভুট্রা থেকেই খাদ্য উৎপাদন শুরু করেন । টানা ২৫ বছর ভুট্রা দাঁড়া উৎপাদন করেন ভুট্রার খই, ভুট্রার ভাজা , কর্নবম , কর্ন পাকুরা , কর্নভারগার, বেবিকর্ন , কর্নফ্লাই, ভুট্রা রসাতো , ভুট্রার বেশন , চাল ও গম , ভুট্রার ফোটা , ভুট্রার নেমটি , ভুট্রার বুরুন্দা, ভুট্রার জেলাপি, ভুট্রার রুটি, ভুট্রার চানাচুর, ভুট্রার ছোট কর্ন, মিশ্র খাবার , ভুট্রার ঝাল মুড়ি, মিষ্টি মুড়ি, পেয়াজী, বার্লি ফাওয়ার ফ্লাই ইত্যাদি ।
কোন যন্ত্রপাতী তার নেই শুধু কৌশলগত দিক থেকে তিনি এগিয়ে ১০ জন শ্রমিক নিয়ে প্রতিদিন শুধু কারিকুলাম অনুসারে খাদ্যের নানা উপাদান তৈরি করে বিক্রি করছেন তার আবাদে ২০০ শতাংশ জমি উৎপাদিত ভুট্রা শুধু খাদ্য হিসাবে নানা উপাদান তৈরি করছেন । কৃষি নির্ভর এ দেশে এমন আইডল রফিকের মত আরও ১০জন হলে ভুট্রা দিয়েই বাংলাদেশের খাদ্য চাহিদার ৮০ ভাগ পূরণ করা যেতো। ভুট্রার খাদ্য উৎপাদনে আইডল রফিক তার গরু পালিত করে সারা বছর ভুট্রার গাছ দিয়ে। ছেলে মেয়েদের ৮০ ভাগ খাবার ভুট্রা থেকেই খাওয়ান । রফিকের মত সারা দেশে এমন ভূট্রা চাষি ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে এ প্রত্যাশা সকলের ।