পাবনা প্রতিনিধি : নিরাপদ উদ্যানতাত্বিক ফসল উৎপাদন ও সংগ্রহোত্তর প্রযূক্তি প্রকল্পের আওতায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দুইদিনব্যাপী প্রশিক্ষন সোমবার (৩১ মে) শেষ হয়েছে। পাবনা সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন হল রুমে এ প্রশিক্ষনের আয়োজন করে।
বিষমূক্ত নিরাপদ ফল ও সবজি উৎপাদন ও বাজারজাত করনের কলাকৌশল এ প্রশিক্ষনে স্থান পায়। এতে পাবনা সদর উপজেলায় কর্মরত ২৫ জন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অংশগ্রহন করেন। রোববার প্রশিক্ষণটি উদ্বোধন করেন খামারবাড়ী, ঢাকার নিরাপদ উদ্যান তাত্বিক ফসল উৎপাদন ও সংগ্রহোত্তর প্রযূক্তি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. শাহীনুল ইসলাম।
প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষন দেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, পাবনার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল কাদের, পাবনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান রশীদ হোসাইনী, অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীম আরা নিপা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা নুসরাত কবীর।
প্রকল্পের উদ্যেশ্য সম্পর্কে ড. মো. শাহীনুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের সুষ্ঠ পরামর্শের মাধ্যমে মানব দেহের ক্ষতিকর বিষ ব্যববহার না করে বিষমূক্ত নিরাপদ ফল ও সবজি উৎপাদন, সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের জন্য কৃষকদের সহায়তা প্রদান ও মানসম্পন্নভাবে বাছাই করনের পদ্ধতি কৃষকদের অবহিতকরণের জন্য এ প্রকল্প।
এজন্য এ প্রকল্প থেকে পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের মধুপুর বাজারে নিরাপদ ফল ও শবজি বাজারজাত করনের জন্য আলাদাভাবে স্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এ কেন্দ্র থেকে কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত নিরাপদ ফসল পাইকারদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছে। মধুপুরের কৃষক আমিরুল জানান, নিরাপদ উদ্যানতাত্বিক ফসল উৎপাদন করে বিক্রয় কেন্দ্রে এনে আমরা কোন ঝামেলা ও মধ্যসত্বভোগীদের দৌরাত্ব ছাড়াই আমাদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করার সুযোগ পাচ্ছি।