মোঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর : দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে এবার। কৃষকরা ধান গমের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে মনোযোগ দিয়েছেন। মাঠে মাঠে ভুট্টার ফুলে বাতাসে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। কৃষি অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১৮০ হেক্টর, ইতোমধ্যে তা অর্জন হয়েছে ২২৫৫ হেক্টর জমিতে। এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা ভুট্টার গাছের পাশ দিয়ে আইল দিয়েছেন। তার সঙ্গে পানি সেচ দিয়ে ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিয়েছেন। ভুট্টার প্রতিটি গাছে ফল ধরতে শুরু করেছে।
জানা যায়, প্রথমে ২০ কেজি পটাস, ২৫ কেজি ফসফেট, ১০ কেজি জিপ সার, ১ কেজি বরন, ১ কেজি দানাদার ও ১ কেজি সালফার মাটির সঙ্গে মিশিয়ে জমি তৈরি করে বিঘাপ্রতি ৩ কেজি ভুট্টার বীজ রোপন করেন কৃষকরা। ১ মাসের মাথায় আইল বেঁধে বিঘাপ্রতি ২৫ কেজি ইউরিয়া, ২০ কেজি ডেপ ও ২ কেজি থিওভিট ছিটিয়ে ক্ষেতে পানি সেচ দেন তারা। বীজ বপনের ৯০ দিনের মধ্য ভুট্টা কাটা-মাড়াই করে থাকেন কৃষকরা।
ভুট্টার বীজ বপন থেকে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত বিঘাপ্রতি কৃষকের খরচ হয় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে প্রতি বিঘায় ৪০ থেকে ৫০ মণ ভুট্টা উৎপাদন হয়।
গত বছর কৃষকেরা প্রতিমণ ভুট্টার দাম পেয়েছিলন ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। এবারও তারা ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পাওয়ার ব্যপারে আশাবাদী।
ভুট্টা চাষী ছালাম বলেন, প্রতি বছর আমি এক বিঘা জমিতে ভুট্টার আবাদ করি। এ বছরও আবাদ করছি, দেখি কেমন হয়? অল্প জমি তাই নিজেই সব কাজ করি, এতে খরচ কম হয়। আশা করছি এবার ভুট্টার ভালো দাম পাবো।
ভুট্টা চাষিরা বলেন, গতবার ২ বিঘা জমিতে ভুট্টার চাষ করেছিলাম, দামও ভালো পাইছি। তাই এবছর ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করছি। আশা করছি ভাল ফলন পাবো।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার জোহরা সুলতানা বলেন, চিরিরবন্দরে এবার ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১৮০ হেক্টর, ইতোমধ্যে তা অর্জন হয়েছে ২২৫৫ হেক্টর। আমরা সরকারিভাবে ১০১০ জন ভুট্টা চাষিকে ২ কেজি হাইব্রিট ভুট্টা বীজ ও ২০ কেজি DAP, ১০ কেজি MoP সার মোট ২০২০ কেজি বীজ, ৩০.৩০ মে.টন সার বিনামূল্যে বিতরণ করেছি। আশা করি আগামীতে ভুট্টা চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে।