সোম মল্লিক যশোর প্রতিনিধি : বিজেএমসি’র ১৪টি জুট মিল বেসরকারি খাতে লিজ প্রদানের প্রাথমিক কাজ শেষ করেছেন সরকার। ১৪ টি জুট মিলের মধ্যে রয়েছে যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ (জেজেআই) ও কার্পেটিং জুট মিলসহ খুলনার ইস্টার্ণ জুট মিল, ক্রিসেন্ট জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, নরসিংদীর বাংলাদেশ জুট মিল, ইউএমসি জুট মিল, রাজশাহী জুট মিল, সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুট মিল, চট্টগ্রামের কেএফডি, হাফিজ জুট মিল, এমএম জুট মিল, গুল আহমদ জুট মিল। ২২ টি জুট মিলের মধ্যে ১৭ টি মিল লিজ প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়।
কিন্তু ১৪ টির জন্য ৫১ টি আবেদন পড়লেও বাকি ৩ টির জন্য কোন আবেদন পড়েনি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যে ৩টি জুট মিলের জন্য কেউ দরপত্র ফেলেনি, সেগুলি হলো-প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল, খালিশপুর জুট মিল,স্টার জুটমিল। যে ৫টি পাটকল সরকারের হাতে রাখতে চাচ্ছে, সেগুলি হলো-চট্টগ্রামের বাগদাদ-ঢাকা-কার্পেট ফ্যাক্টরী, ডেমরার করিম জুট মিল, লতিফ বাওয়ানী জুট মিল, খুলনার আলীম জুট মিল, চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল।
তবে একটি মিল নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় আপাততঃ কোন সিদ্ধান্ত হচ্ছেনা। ওপেনিং কমিটির কাজ শেষ হয়েছে, আগামীতে মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে আবেদনপত্র যাচাই বাছাই করার কাজ করা হবে।
বিজেএমসি’র চেয়ারম্যান মোঃ আঃ রউফ বলেছেন, অতি শীঘ্রই সরকারি পাটকলগুলি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়ে মিলগুলি শ্রমিক বান্ধব হিসাবে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে ইনভাইটেশন ফর এক্সপ্রেশন অফ ইনটারেস্ট (ইওআই) স্তর শেষ হয়েছে, চূড়ান্তকাজ ২০২১ সালের মধ্যেই সমাপ্ত হতে পারে। এরপরই লিজগ্রহীতাদের হাতে হস্তান্তর করা হবে।
মিলগুলির শ্রমিকরা নতুনভাবে কর্মসংস্থান খুঁজে পাবে। হাজার হাজার পরিবার পথ চেয়ে বসে আছে,অপেক্ষায় আছে সুদিনের জন্য। দক্ষিণাঞ্চলের জুট মিলের শ্রমিক কর্মচারীরা শুধু নয়, মিল নির্ভরতায় আছে লক্ষ মানুষ। মিলসংলগ্ন বাজারগুলিও জমে উঠবে শুভক্ষণে। সরকার ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। শিল্পপতি, ব্যাবসায়ীরা প্রতিযোগিতা পূর্ণভাবে পূঁজি বিনিয়োগ করে জাতীয় পর্যায়ে সমৃদ্ধিবয়ে আনবে নিশ্চিতভাবে।