বিডি২৪ভিউজ ডেস্ক : পোশাক খাতের কারণে দেশের গ্রামীণ ৩০ লাখ নারীর ভাগ্য বদল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, এ শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থানেও বড় ভূমিকা রাখছে।
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেলে শেরাটনে ‘লাল সবুজের বাংলাদেশ-গৌরবের ৫০ বছর ও বিজিএমইএ’র ৪০ বছর’ উদযাপন উপলক্ষে বিজিএমইএর গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতিদেরও সম্মাননা প্রদান করা হয়।
টিপু মুনশি বলেন, আমাদের পোশাক শিল্প দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখলেও বেশ কিছু সমস্যার মধ্যে রয়েছে। আমরা সব সমস্যার সমাধান করতে চাই। এ শিল্প তৃণমূলের ৩০ লাখ নারীর ভাগ্য বদলে দিয়েছে। সামনে আরও অনেক কাজ করতে হবে পোশাক শিল্পকে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে আমরা কাজ করছি। এখন এ ব্যবসায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন তরুণ উদ্যোক্তারা। তরুণরা থাকলে পথ হারাবে না দেশ, এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, একসময় নারীদের সম্মান দেওয়া হতো না। যারা একসময় নারীদের গালি দিত, এখন তারা সম্মান দেয়। এটা পোশাক শিল্পের কারণে হয়েছে। পোশাক শিল্পকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। বিশ্বে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছে দেশের পোশাক শিল্প। তিনি বলেন, ট্রেড লাইসেন্সের জন্য সমস্যা ছিল আমাদের। এখন প্রত্যেক দিন ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই মিলে ন্যায্য দাবিগুলোর পক্ষে দাঁড়াব।
সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ অনেক, সমস্যাও রয়েছে। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডই আমাদের ৬০ শতাংশ সমস্যা-সমাধান করতে পারে। কিন্তু তা না করে এনবিআরের কাছে সমস্যা নিয়ে গেলে আরও বেশি সমস্যায় পড়ি। আমরা এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ চাই। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, দেশের সিংহভাগ রফতানি আয় আসে পোশাক খাত থেকে। পোশাক শিল্পের কারণে আজ ব্যাংক ও আর্থিক খাত এগিয়েছে। এ শিল্পের সমস্যা সমাধান হলে অর্থনীতিতে আরও বড় অবদান রাখতে পারবেন খাত সংশ্লিষ্টরা।